দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন। ইতিমধ্যেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও। তিনিও শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ট্রাম্পের মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন ইউনূসের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে।
জয়ের আগেই বাংলাদেশের হিন্দু অত্যাচার নিয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ফলে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কি বিদেশনীতি গ্রহণ করবেন? সেই দিকে তাকিয়ে সব মহল।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বদল হলেও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে খুব একটা বড় কোনও বদল হয়নি অতীতে। কিন্তু ট্রাম্প বরাবর ব্যতিক্রমী। তাঁকে প্রথাগত মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে তাঁর জমানায় বিদেশনীতিতে ‘টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন’ থাকাটাই স্বাভাবিক চোখে দেখছেন অনেকেই।
বাংলাদেশে ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পকে। তিনি থাকলে এই ধরনের ঘটনা হতে দিতেন না, তা জানিয়েছিলেন আগেভাই। সেক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর ‘আমি থাকলে’-র মানে কি বুঝিয়ে দেবেন ট্রাম্প? সেই দিকেই সব নজর।
এছাড়াও ইউনূস এবং ট্রাম্পের সম্পর্কের ‘তিক্ত অধ্যায়’ দুনিয়া দেখেছে ২০১৬ সালে। ফ্রান্সের এইচইসি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ট্রাম্পের জয়কে ‘সূর্যগ্রহণের সময়’-এর মতো বলে বর্ণনা দিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ইউনূসের সুসম্পর্কও দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
যদিও এই সমস্ত পুরনো ‘ক্ষতে’ প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে ইউনূসকে। ট্রাম্পের জয় ঘোষণা হওয়ার পরেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনাও শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন তাঁকে। সেক্ষেত্রে আমেরিকার ক্ষমতা রিপাবলিকানদের হাতে যাওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরের রাজনীতিতে কোনও পরিবর্তন আসবে কি না, তা দেখতে মুখিয়ে সমস্ত মহল।