মমতা বলেন,’…আমাদের পাবেন ৩৬৫ দিন কাকের মতো। কোকিল আসবে…কুহু কুহু করে চলে যাবে। কিন্তু কাক রোজ আসবে। তার ডাক পছন্দ নাও হতে পারে। তবে রোজ আসে সে।’
এবার ছট পুজো নিয়ে গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে নিজেই একথা জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
২০২৪ সালের ছট পুজো উপলক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান এবার প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। বিহার, উত্তর প্রদেশ সহ দেশের একটি বড় অংশের মানুষের কাছে এই ছট উৎসব বড় পার্বন। আজ কলকাতার বুকে ‘পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের’ জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এই গানের কথা বলেন দিদি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই গান আগামিকাল ছট উৎসবের সময় শোনা যাবে। এই গান মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজেও আসবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ছট পুজো। এদিন জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে মমতা বলেন, “আপনারা শুনলে খুশি হবেন, এবারে ছট পুজো নিয়ে আমি গান লিখেছি, ছোটি মাইয়া। আগামীকাল সকালে ঘাটে গান শুনতে পাবেন।” ছট পুজো নিয়ে নিজের লেখা গান বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকেও আপলোড করবেন বলে জানান তিনি।
ছট পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গঙ্গাঘাট এবং নদীর পারগুলিতে প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুণ্যার্থীদের সতর্ক করে মমতা বলেন, “পুজোর জন্য গঙ্গাঘাটে তাড়াহুড়ো করবেন না। ছোট ছোট গ্রুপ করে করে ধীরে ধীরে ঘাটে যাবেন। কেউ তাড়া দিলেও তাড়াহুড়ো করবেন না। ওতে পদপিষ্ট হয়ে যেতে পারেন। কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে সকলকে নজর রাখতে হবে।”
এদিন পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মঞ্চ থেকেই চন্দননগরের ৮টি এবং ভদ্রেশ্বরের ২টি পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। সেখানেই একথা বলেন তিনি। চন্দনগরের লাইটিং, মোদকের সন্দেশের প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা মঞ্চ থেকে বলেন, বাংলা…’ তো পুরো মিনি ইন্ডিয়া। কারোর বাজ়ি বিহার, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে হতে পারে.. দেশের সব কোণ থেকে আপনারা আসেন।
কিন্তু আপনাদের কখনও কোনও সমস্যা হয়েছে জাতি,ধর্মের নামে? ’ ‘আমরা কখনও জিজ্ঞাসা করিনা আপনারা খাবেন পরবেন, কোন ধর্মের।’ তিনি বলেন, এখানে থাকতে গেলে ‘মিলে মিশে থাকতে হবে’। তিনি দেন মানবিকতার বার্তা। তিনি বলেন,’বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন, তাহলেই আপন করতে পারবেন। ‘