সঙ্গীতা চৌধুরী ও অর্পিতা বনিক : কলকাতা আইসিসিআরে ৫ এপ্রিল এক অভিনব ফ্যাশন শো আয়োজিত হয়েছিল। ফ্যাশন আর্টিস্ট অদিতি দত্ত ‘ফ্যাশন ইতি কথা ‘ নামাঙ্কিত এই শো- র উদ্যোক্তা ছিলেন। পয়লা বৈশাখের আগে সামার কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অদিতি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইন্দো- ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর ফ্যাশনের হাতে খড়ি হয়েছিল প্রখ্যাত ডিজাইনার শর্বরী দত্তের কাছে। একটা সময় শর্বরীর সর্বক্ষনের সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন। এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় ঐতিহ্য ও ঘরানার সঙ্গে পাশ্চাত্যের মেল বন্ধন ঘটানো।
দেখুন ভিডিও
অদিতি এই শো প্রসঙ্গে বলেন, ” এই ফ্যাশন শো-এ আমার পোশাক ছাড়া কিছু জুয়েলারী এবং প্রসাধনও ব্যবহার করা হয়েছে। এতে মোট পাঁচটি বিভাগ আছে। প্রথম বিভাগ হলো মলমল, দ্বিতীয় বিভাগে হ্যান্ডলুম আর গামছা ব্যবহার করা হয়েছে। তৃতীয় বিভাগ জুট, চতুর্থ বিভাগে পোশাক বানাতে গিয়ে যত ছাট বেরিয়েছে সেইগুলোকে ট্রান্সফর্ম করে পোশাক বানানো হয়েছে।
আসলে মুর্শিদকুলি খানের সময় থেকে আজকে পরিবর্তন কিন্তু সে অর্থে কিছুই হয় নি। পরিবর্তন এসেছে শুধু মানুষের চিন্তধারায়। হয়তো পশ্চিমের সঙ্গে পুবের একটা মিলন ঘটেছে। আমার সৃষ্টির মাধ্যমে সেটাই শুধু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি তাই ইংরেজির মাধ্যমে বাঙালিয়ানাকে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস চালিয়েছি।” এই শো- এর কোরিওগ্রাফার ছিলেন পৃথ্বীরাজ ঘোষ। পৃথ্বীরাজ বলেন, ” এই শো-এ ট্রিপিক্যাল ramp ওয়ার্ক হচ্ছে না, একটু অন্যরকম ভাবনায় মডেলরা হাঁটবেন।”
ফ্যাশন শো- এ মোট সাতজন মহিলা মডেল এবং দুজন পুরুষ মডেল ছিলেন। অনুষ্ঠানের অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন পন্ডিত মল্লার ঘোষ, মল্লিকা ঘোষ, শোভন সুন্দর বসু, অদিতি বসু রায়,পাপড়ি ঘোষ চৌধুরী প্রমুখ। আবহসঙ্গীত ও যথার্থ আলোক সম্পাতের মধ্যে এক একটা রাউন্ড দারুণ অভিনবত্ব সৃষ্টি করে। শো-এর শেষে মডেলদের সঙ্গে সেলিব্রিটিরাও পা মেলান। পুরো অনুষ্ঠানটি এক অন্য মাত্রা পায়।