স্টাফ রিপোর্টার -তাঁর বা তাঁর পরিবারের স্বজনদের কারো কোনো ,,”অঘটন” ঘটলে সম্পূর্ন ভাবে দায়ী থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা সাফ জানিয়েছেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।
তিনি এও বলেন, ” টি এম সি নেতা এমন কথাও বলেছেন যে চার পাঁচ মাসের মধ্যে আমার নাকি এক্সপায়ারি ডেট ফুরিয়ে যাবে। আমি তো মানুষ, ওষুধ বা প্রোডাক্ট নই যে আমার এক্সপায়ারি ডেট থাকবে। ওই ডেটটা ওপরঅলার হাতে। সেটা আপনার আমার সবার ক্ষেত্রে। তিনি আরও বলেন এর আগেও মতিগঞ্জ এলাকার একটি জনসভা থেকে ও বিশ্বজিৎবাবু হুমকির সুরে বলেছিলেন আমার গাড়ি ও বাড়িতে বোম পড়বে ” দেখুন ভিডিও
উল্লেখ্য, সেরকম চাইলে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডলের পরনে “জামা প্যান্ট”-ও থাকত না বলেই রীতি মত কড়া সুরে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। এমনও বলেছেন, বিরোধী নেতার এক্সপায়ারি ডেটও শেষ হওয়ার মুখে। সব মিলিয়ে, উত্তর ২৪ পরগনায় এই প্রবল শৈত্য প্রবাহের মধ্যেই ঘাস ফুল বনাম গৈরিক শিবিরের মধ্যে জোর চাপান উতোরের জেরে রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমনকি, যুব তৃণমূল নেতা পাপাই রাহার হুঁশিয়ারি, ‘‘এপ্রিল মাসের পর পাপ্পুকে (দেবদাস) রাজনৈতিক সমাধি দিয়ে দেব। পাপ্পুকে আর দেখা যাবে না।”
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার বনগাঁ শহরে সভা করে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসকে ইডি-র তল্লাশি নিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন দেবদাস । দুপুরেই বনগাঁ শহরে একই জায়গায় পাল্টা সভা করে দেবদাসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এর সাথে বনগাঁয় সংহতি যাত্রার শেষে পথসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্বজিৎ বলেন ‘ওর (দেবদাস) এক্সপায়ারি ডেট দেখতে পাচ্ছি। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ওর এক্সপিয়ারি ডেট শেষ হয়ে যাবে। মিছিলের দিকটা যদি একটু ঘুরিয়ে দিতাম ওর জামা-প্যান্ট থাকত না । আরে ওর সঙ্গে কেউ নেই ।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষও এক ধাপ এগিয়ে দেবদাসের বিরুদ্ধে” দুর্নীতিরও” অভিযোগ তোলেন। দেবদাসের সঙ্গে ডাকুর একটি ছবি দেখিয়ে নারায়ণ বলেন, ” ২০১৫ সালের ভোটে ডাকুর হয়ে দেবদাস ভোট লুট করেছিল। সে এখন আবার ডাকুর বিরুদ্ধে কথা বলছে!,”
দেবদাসের দাবি, ” ভোটের পর ওদেরই রাজনৈতিক সমাধি হয়ে যাবে। আর দিল্লিতে ২০১৪ সালে কেনা আমার ফ্ল্যাট আছে। ।’’ নারায়ণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দেবদাস বলেন, ‘‘ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আমি জমি-বাড়ি লুট করেছিলাম কি না!’’ তাঁর দাবি, ‘‘ডাকুর সঙ্গে আমার যে ছবি দেখানো হয়েছে, সেখানে নারায়ণের ছবিও ছিল। সেটা বাদ দিয়েছে এডিট করে। ২০১৫ সালে আমরা একসঙ্গে অমরনাথ গিয়েছিলাম।’’
বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, ‘‘ওর (দেবদাস) লজ্জা, ঘৃণা নেই। ও আসলে তৃণমূলে আসার চেষ্টা করছে। বনগাঁর মানুষ ওর মতো অন্ধকার জগতের মানুষকে চান না।” সব মিলিয়ে, লোক সভা ভোটের আগেই দুই তরফে তীব্র চাপান উতোরের জেরে বনগাঁ শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার আম জনতার শঙ্কা এসব অদূর ভবিষ্যতে রাজনৈতিক হিংসার অশনি সংকত নয় তো!