দেশের সময় কলকাতা: পৌষ সংক্রান্তির সকালে ফের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আরও একবার তৎপর হল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শহরের চার জায়গায় হানা দিল ইডি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা বহাল আছে বঙ্গে। সেই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও ইডির তল্লাশি অভিযানে সরগরম হল রাজ্য। সোমবার সকালেই শঙ্কর আঢ্যের সল্টলেকের অফিস সহ চার জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, কলিন স্ট্রিটে ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা। এই কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে শঙ্করের।
চৌরঙ্গিতে অবস্থিত শঙ্কর আঢ্যর আরও একটি অফিস অর্থাৎ এসআর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই কোম্পানির ডিরেক্টর শঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য।
জানা যাচ্ছে, বাকি আরও যে তিনটি জায়গায় গোয়েন্দারা হানা দেবেন সেটিও কোনও বাড়ি নয়, অফিস।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভের আরএস মোড়ে সিটকো গ্লোবাল টাওয়ারের বারো তলায় সিএএসকেবি চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টের অফিস রয়েছে। সেখানেই হানা।
মারকুইস স্ট্রিট এ ইডির অপর একটি দল। একটি ‘আসিফা’ নামে একটি গেস্ট হাউজে তল্লাশি চালাবেন তাঁরা। হাতে কাগজ নিয়ে এই মহূর্তে গেস্ট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে গোয়েন্দারা।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভের আরএস মোড়ে সিটকো গ্লোবাল টাওয়ারের বারো তলায় সিএএসকেবি চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টের অফিস রয়েছে। সেখানেই হানা।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি চাডার্ড অ্যাকাউন্সের অফিসে রয়েছেন গোয়েন্দারা। শুরু হয়েছে তল্লাশি। জানা যাচ্ছে, শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে এই চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্মের যোগ রয়েছে। সেই কারণেই নতুন তথ্য পেতেই তল্লাশি চলেছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পর মামলার তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বালু-বাকিবুরের মাঝেই বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের নাম নিয়েও চর্চা শুরু হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি গ্রেফতার হন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, শুধু নিজে নন, সপরিবারে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। আর সেই কারণে তাঁর পরিবারকেও তলব করা হয়। এবার তাঁর অফিস সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করল ইডি। জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্যের সল্টলেকের চাটার্ড এ্যাকাউন্ট অফিস ছাড়াও চৌরঙ্গী এলাকার তাঁর আরও এক অফিসে হানা দিয়েছে তারা।
এরই মাঝে আবার এক রহস্যময় চিঠিকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হয়। গত শনিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি দাবি করেছিল, রেশন দুর্নীতিতে কার কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে এবং কত টাকা দিতে হবে, সংশ্লিষ্ট চিঠিতে সেই উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পর বালুকে চিনতেই অস্বীকার করেছিলেন শঙ্কর। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সটান লেনদেনের কথা উড়িয়ে দেন। কিন্তু ইডি যা দাবি করছে তাতে বিস্ময় থাকছেই। কারণ, তাদের দাবি রেশনে ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।