অর্পিতা বনিক দেশের সময় :রাত পোহালেই লক্ষ্মী পুজো। দশমীর ঠিক পাঁচদিনের মাথায় পঞ্চমী তিথিতে হয় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।
কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী, অর্থাৎ কে জেগে আছেন। ভর সন্ধ্যে ছাড়া এই পুজো করা উচিত নয়। ঠিক গোধূলী লগ্নের মুহূর্ত থেকেই পূর্ণিমা তিথিতে হয় এই পুজো।
মহালক্ষ্মী আদি ভগবতী, তাঁর আরাধনায় শুধু অর্থলাভ নয়, বরং সন্তান লাভ, শারীরিক অসুস্থতা দুর হয়। তাই ঘরে ঘরে এর আরাধনা হয়েই থাকে। দেখুন ভিডিও
ভোগ – পরমান্ন, ফল ফলাদি থেকে খই নাড়ু, বাদ পড়ে না কিছুই। এসবই মুখ্য আকর্ষণ লক্ষ্মী পুজোর। সঙ্গে নারায়ণ থাকলে সিন্নি প্রসাদ অবশ্যই।
দেবীকে ফল, মিষ্টি, আনাজ-সহ নৈবদ্য সাজিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে ঘরে ঘরে। কিন্তু পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্ত বাঙালির।
ক্রেতাদের দাবি, বনগাঁর বাজারগুলিতে দুর্গা পুজোর সময় থেকেই ফুল, ফল, আনাজের দাম একটু চড়া ছিল। লক্ষ্মীপুজোর জন্য চাহিদা বৃদ্ধি পেতেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে দাম। গ্রামাঞ্চলে অনেক বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে নিমন্ত্রণ থাকে পরিচিতদের। তবে ১০০ দিনের কাজ না থাকা, পাটের লাভজনক দর না পাওয়া-সহ নানা কারণে নগদের টান রয়েছে গ্রামবাসীদের হাতে। সব মিলিয়ে লক্ষ্মীপুজোর বাজার সারতে কালঘাম ছুটছে গৃহস্থের।