দেশের সময়, কলকাতা: বাংলায় একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তারপরই বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধের ব্যাপারে আরও জোর দিয়েছে সরকার! সেইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, নিয়ম না মেনে, লাইসেন্স ছাড়া বাজি তৈরি করা যাবে না।
তারপরই একের পর এক বাজি কারখানার দরজা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু সামনেই শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। সেই সময় বাজি ফাটানোর ধুম দেখা দেবে। কিন্তু কারখানা বন্ধ হলে বাজির জোগান পাওয়া যাবে কোথা থেকে, সেই নিয়ে চিন্তা দেখা দিয়েছিল।
বাজি প্রস্তুতকারক ব্যবসায়ীরাও ভাবতে বসেছিলেন কীভাবে বাজি তৈরি করবেন, আদৌ নতুন করে কেউ লাইসেন্স পাবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব। বাজি তৈরি নিয়ে শুক্র ও শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে ও জেলাশাসকরা। সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, যদি নিয়ম মেনে, ফাঁকা জায়গা বাজি প্রস্তুত করতে চান এমন কেউ আবেদন করেন, তবে তাঁকে সাতদিনের মধ্যে লাইসেন্স দিয়ে দিতে হবে।
সূত্রের খবর, ওইদিনের বৈঠকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে, তামিলনাড়ু মডেল অনুসরণ করার কথা বলেন। তামিলনাড়ু মডেলের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ওই রাজ্যে যেভাবে কাজ হচ্ছে, সেই পদ্ধতিতে এখানে কাজ করতে হবে। এখানে কাজ বড্ড ধীর গতিতে হচ্ছে। তা একেবারেই কাম্য নয়। শনিবারের বৈঠকেও রাজেশ পান্ডে একই কথা বলেন।
এখন প্রশ্ন হল, তামিলনাড়ু মডেলের ওপর কেন জোর দিচ্ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব?
জানা গেছে, দফতরে দফতরে ফাইলের পাঁজা জমা হয়। এক টেবিল থেকে আর টেবিলে ফাইল যেতে দিন কয়েক কেটে যায়। তাতে কাজের গতি কমে যায়। সরকারি কাজে গতির কথা বিবেচনা করলে, তামিলনাড়ু দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৷ পাঁচ নম্বরে আছে বাংলা। সেটাই কাজেই গতি আনার কথা বলা হয়েছে বলে খবর।