Panchayat Elections 2023: ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন তা নিয়ে ‘ধন্দ’ !খবর কমিশন সূত্রে

0
294

দেশের সময় , কলকাতা: ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (West Bengal Panchayat Elections 2023) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রথম থেকে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে খুব একটা সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি কমিশনের। আদালতের হস্তক্ষেপের পর ৮২২ কোম্পানির কথা তারা জানায়। এই মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আবেদন জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে চলেও এসেছে। রুটমার্চও শুরু করেছে তারা।

তবে সূত্রের খবর, এই ৩১২৫ কোম্পানি বাহিনীর কাকে কোথায় মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর।

কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও একটি ব্যারাক বা ব্যাটালিয়ন থেকে আসছে না। তার কিছু আসছে বিএসএফ থেকে, কিছু সিআরপিএফ ও আইটিবিপি থেকে। বাকি বাহিনী আসছে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ফোর্স থেকে। তাদের কবে কোথায় পৌঁছতে হবে এখনও স্পষ্ট নয়। কমিশন বাহিনী চেয়ে তো রেখেছে, কিন্তু এখনও জানায়নি যে কবে থেকে সেই বাহিনী লাগবে। বাহিনী কলকাতায় এসে পৌঁছলে তারা কোথায় থাকবে সেও প্রশ্ন।

এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরে দুটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এসে বৈঠক করেন। তাঁরা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কবে কোথায় বাহিনী পাঠাতে হবে তা যেন লিখিত ভাবে জানানো হয়। কারণ, সেই মোতাবেক তাঁদের ব্যবস্থা নিতে হবে। রেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে পরিবহণের জন্য।

তবে কমিশন সূত্র বলা হচ্ছে, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কমিশনের নিজস্ব পর্যালোচনায় এত বাহিনীর প্রয়োজন ছিল না। ১৮৯ টি স্পর্শকাতর বুথের জন্য ২২ কোম্পানি বাহিনী আপাতত যথেষ্ট বলে কমিশন মনে করছিল। এখন ৮০০ কোম্পানি কোথায় কোথায় পাঠানো হবে, তা নির্ধারণ করতে গিয়ে কমিশনও বিভ্রান্ত। কেননা কমিশনের মতে ভোট এক দফাতেই হওয়া উচিত।

অর্থাৎ ৮ জুলাই ভোট গ্রহণ করা হবে। এই অবস্থায় এই ৩৩৭ কোম্পানি বা ৮০০ কোম্পানি বাহিনী সর্বত্র সমান ভাবে ব্যবহার করতে গেলে তার কী সূত্র হবে তা জেলা শাসকদের ইনপুটের উপর নির্ভর করছে। কারণ, জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে ৮০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা করা কম কথা নয়। তাদের জন্য গাড়ি অন্যান্য লজিস্টিক্সেরও আয়োজন করতে হবে।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে যে চিঠি দিয়েছে তা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে কমিশন। তার পর আদালতের নির্দেশে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর জন্য ফের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। কিন্তু শনিবার সন্ধে পর্যন্ত সেই চিঠির জবাবও দিল্লি দেয়নি।

যাঁরা এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয় করবেন, তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কমিশনে বৈঠক করছেন। বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। যদিও এখনও কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় কোথায় থাকবে বলেই দাবি সূত্রের। এখানেই বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মোতায়েন নিয়েই যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে এত সময় নিচ্ছে, তখন বাকি বাহিনী এলে কী হবে?

ইতিমধ্যেই বাহিনী মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, বাকি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখা হয়েছে। যদিও তারও উত্তর আসেনি বলেই সূত্রের খবর। বিরোধীরা বলছে, জেলায় জেলায় মনোনয়ন দাখিল ও তা প্রত্যাহার ঘিরে অশান্তির চিত্রটা সকলেই দেখেছে। এবার যদি বাহিনী নামানো হয় অনেক ঘরছাড়া ঘরে ফিরতে পারবেন। সাধারণ মানুষের আতঙ্কও কিছুটা কমবে, দাবি তাদের। আর ভোট প্রচারেও নিরাপত্তা থাকবে। তবে সেই বাহিনী মোতায়েন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

এই অবস্থায় ২৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টে ফের রিপোর্ট পেশ করতে হবে কমিশনকে। দেখা যাক, তার আগে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জটিলতা কাটে কিনা।

Previous articlePanchayat Election 2023: ভুল করলে মানুষের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নেব : জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
Next articleDesher Samay epaper দেশের সময় ই পেপার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here