দেশেরর সময় ওয়েবডেস্কঃ সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ‘বিপর্যয়’ । এই বিপর্যয়ের জেরে বড় বিপর্যয় হতে পারে পাকিস্তানে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আরব সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। মঙ্গলবার থেকেই গভীর ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে শুরু করেছে ঘূর্ণঝড় বিপর্যয়।
আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তা গভীর ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। তবে বাংলার চিন্তার কারণ নেই, এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে পাকিস্তানে । মঙ্গলবারই মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয় , করাচি থেকে দক্ষিণে ১৪৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। ‘বিপর্যয়’র কারণে প্রভাব পড়বে বর্ষার প্রবেশেও।
তীব্র গরমের মাঝে ফের খারাপ খবর শোনাল আবহাওয়া দপ্তর।বাংলায় জ্বালাপোড়া গরম থেকে এখনই রেহাই পাওয়া যাবে না। তাপপ্রবাহ চলবে আরও বেশ কিছু দিন। এমনকী বর্ষাও ঢুকবে দেরিতে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলায় বর্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। সোমবারই নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল আরব সাগরে। আজ সেটি শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ, পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাহলে আশঙ্কা কোথায়? আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল থেকে সরতে শুরু করেছে। কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূল থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরে গেলেও, ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করলে বিক্ষিপ্ত জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বইতে পারে। আরব সাগরের উত্তর-পূর্বে ও গুজরাট উত্তর উপকূলে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা আরও জানাচ্ছেন, চলতি বছরে বাংলায় বর্ষা ঢুকতেও দেরি হবে। ১ জুন কেরলে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময়। মৌসম ভবন জানিয়েছিল, সামান্য দেরিতে ৪ জুন কেরলে বর্ষা ঢুকবে। কিন্তু আন্দামানে আগাম বর্ষা এলেও, দেশের মূল ভূখণ্ডে এখনও প্রবেশ করেনি।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এখনও লাক্ষাদ্বীপের কাছেই আটকে রয়েছে বর্ষা। দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরেই কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে। অর্থাৎ ৮ জুন নাগাদ কেরলে বর্ষার আগমন ঘটতে পারে। অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।
সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রভাব পড়ে বর্ষার প্রবেশেও। আন্দামান-নিকোবরে বর্ষা প্রবেশ করলেও, এখনও কেরলে প্রবেশ করেনি বর্ষা। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে বর্ষার প্রবেশে আরও দেরি হতে পারে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আরব সাগরেই আটকে থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটলে, তারপরই আন্দাজ করা যাবে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে।