দেশের সময়: এবারের মাধ্যমিকে প্রথম হল কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭।
দ্বিতীয় পূর্ব বর্ধমানের শুভম পাল, মালদহের রিফত হাসান সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
তৃতীয় অর্ক মণ্ডল, সৌম্যদীপ মল্লিক, মহম্মদ ইমতিয়াজ, মাহির হাসান, সরোজ পাল, অর্ঘ্যদীপ সাহা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
চতুর্থ বনগাঁর সমাদৃতা সেন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অনীশ বারুই, বর্ধমানের অর্ক ব্যানার্জী।
কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাধ্যমিকে
চতুর্থ সমাদৃতা পড়তে চায় সায়েন্স নিয়ে
মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছে বনগাঁ কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সমাদৃতা সেন। সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিয়মিত পড়াশোনার উপর সবসময় জোর দিয়েছি। স্কুলের ম্যামরা ফোন করছেন। খুব ভাল লাগছে।
প্রথম স্থানাধিকারীর থেকে সাত নম্বর কম পেয়েছে মহম্মদ ইমতিয়াজ। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। বলল, প্রথম দশে থাকব ভেবেছিলাম। তবে তৃতীয় হব ভাবিনি। আমাদের স্কুলের রেজাল্ট খুব ভাল হয়েছে। আমার বন্ধুরা অনেকেই মেধা তালিকায় রয়েছে। বন্ধুদের এই সাফল্য দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছে। নিজের রেজাল্ট নিয়েও আমি খুশি।
এবার তৃতীয় হয়েছে ৬ জন। তাদের মধ্যে ইমতিয়াজের স্কুল থেকেই অর্থাৎ মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র মাহির হাসান তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা একবার পড়তে বসলে উঠতে চাইত না। বাবা-মা একসময় বাধ্য হয়ে বলতেন, এবার ওঠো। আর পড়তে হবে না। দেবদত্তার কথায়, পড়তে খুবই ভাল লাগে। একবার পড়ায় মন বসে গেলে আর উঠতে ইচ্ছা করে না।
পরীক্ষার ৭৬ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ হল।
খাতা দেখেছেন ৪৪ হাজার শিক্ষক।
১২টা থেকে ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখা যাবে।
এবার পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন।
প্রতিটি মার্কশিটে এবার দেওয়া থাকছে কিউআর কোড।
পাশের হারে সর্বোচ্চ পূর্ব মেদিনীপুর, ৯৬.৮১ শতাংশ। দ্বিতীয় কালিম্পং, তৃতীয় কলকাতা।
মেধা তালিকায় ১৬টি জেলা থেকে রয়েছে ১১৮ জন।
ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা
দেশের সময়: কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা। ৬৯৭ নম্বর পেয়েছে সে।
রেজাল্ট বেরনোর পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দেবদত্তার। বলল, টিভি খুলে রাখিনি। ফোন থেকে জানল মা। এতটা ভাবিনি। তবে একটা আশা তো ছিলই। ভেবেছিলাম, এক থেকে দশের মধ্যে থাকব। খুবই ভাল লাগছে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য গৃহশিক্ষক ছিল। ভৌত বিজ্ঞান মা পড়াত। দিনে দশ-বারো ঘণ্টার বেশি পড়তে পারতাম না। সকালে আটটার আগে উঠতে পারতাম না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত পড়তাম। পড়াটাই ভালবাসি। আইপিএল ভালবাসি। দেখার সময় পাইনি। অঙ্ক ও ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চাইছি। আইআইটিতে পড়ার ইচ্ছে। পরিবার পরিজনরা উচ্ছ্বসিত। প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন বাড়িতে। চলে এসেছেন শিক্ষকরাও।
ইতিহাস পড়তে ভয় লাগত, বলল মাধ্যমিকে পঞ্চম অন্বেষা ৷
ডাক্তার হতে চায় মাধ্যমিকে পঞ্চম অন্বেষা চক্রবর্তী। ফল ঘোষণার পর দারুণ খুশি| বলল, বাবা টিভিতে মেরিট লিস্ট শুনছিলেন। মা সবসময় আমার পড়ার ব্যাপারে গাইড করতেন। কখন কোনটা পড়তে হবে, মনে করিয়ে দিতেন। ইতিহাস পড়তে একটু ভয় লাগত। শিক্ষকরা মেসেজ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখনও কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। প্রিয় শখ আবৃত্তি করা আর গল্পের বই পড়া। প্রিয় সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
দেশের সময়: বাড়ির লোকের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি মাধ্যমিকে তৃতীয় সৌম্যজিৎ মল্লিক। বলল, বাড়ির সবাই আমাকে মোটিভেট করেছে। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। স্কুলের শিক্ষকরা খুবই সহায়তা করেছেন।
মাধ্যমিকে এবার পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ।
প্রথম বিভাগে পাশ ১৩.৬৭ শতাংশ।
মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে ৬ জন।
চতুর্থ হয়েছে তিনজন।
পঞ্চম হয়েছে অন্বেষা চক্রবর্তী, এসান পাল, রূপায়ণ পাল, অনুশ্রেয়া দাস, শুভজিৎ দেব। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
ষষ্ঠ হয়েছে বিদিশা কুণ্ডু, অনীক বারুই, সৌম্যজিৎ দাস, সৌম্যজিৎ নাইন, সূর্যেন্দু মণ্ডল, অপূর্ব সামন্ত, প্রাণীল জশ, সতীর্থ সাহা, রায়ান আবেদিন, ঋদ্ধিশ দাস, সুচেতনা রায়। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭