অর্পিতা বনিক, গোবরডাঙা: গুটি গুটি পায়ে শীত আসছে বঙ্গে৷ একই সঙ্গে অতিথিদের আগমনও ঘটেছে। সেইসব বিচিত্র অতিথিদের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানিতে শীত এলেই ছুটে আসেন পর্যটকরাও। ঠিক নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার কঙ্গনা বাওড় হয়ে ওঠে এই এলাকার বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র।
প্রায় ৬০০ বিঘা জলাশয়ে গড়ে ওঠা এই কঙ্গনা বাওড়কে বলা হয় গোবরডাঙার প্রাণ কেন্দ্র। এই জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে স্থানীয় মানুষ সংগঠিত হয়ে ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো শুরু করেছেন গোটা এলাকায়। আর এর জন্যই পাশে পেয়েছেন বহু পরিবেশপ্রেমীদেরও। দেখুন ভিডিও –
শীতের মরসুমে এই সুবিশাল জলাশয়ের পাশের গাছগুলোতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির- নানা রঙের পরিযায়ী পাখির। মনোরম জলবায়ুর টানে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে উড়ে আসে তারা। এই অতিথিদের কিচিরমিচির ডাক শুনতে শুনতে আর এই জলাশয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে সময় পেরিয়ে যাবে, তা বুঝতেও পারেন না এখানে আসা পর্যটকরা।
বিকেল হলেই স্থানীয়রা তো বটেই, আশপাশের বহু মানুযের ঢল নামে এই বাওড়ের আনাচে কানাচে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পরিযায়ী পাখিদের দর্শন করতে। ইতিমধ্যেই অনেকেই ফটোসেশনের জন্য এই পরিবেশকে বেছে নিতে শুরু করেছেন।
কিন্তু পাখি প্রেমীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিছু ধূর্ত পাখি শিকারিদের জন্য ৷ কারণ নজর এড়িয়ে অনেক চোরাগোপ্তা পথে বিগত দিনগুলোতে শিকার করা হয়েছে বহু পরিযায়ী পাখিদের। সেইসব কালো অতীত স্মৃতিকে মনে রেখে এখন খেকেই কড়া নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করতে শুরু করেছেন এই এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা ৷ যদি আরও একবার চোরাশিকারিদের মুক্ত পরিবেশ হয়ে ওঠে এই কঙ্কণা বাওড়, তবে নির্বিচারে পাখি হত্যা যেমন হবে তেমনি নষ্ট হয়ে যাবে এই এলাকার জীব বৈচিত্র্য।