দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে সোমবার মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন রাহুল গান্ধী । সেই পদযাত্রায় তাঁর সঙ্গে পা মেলানোর কথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের। তবে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র বিষয়কে পিছনে ফেলে দিয়ে এখন ২২ কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু৷
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতা চন্দ্রকান্ত খয়েরের একটি মন্তব্য ঘিরে এই জল্পনার সূত্রপাত ৷ শনিবার ঔরঙ্গাবাদের জনসভায় এই শিবসেনা নেতা দাবি করেন, কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের হাত ধরতে প্রস্তুত হয়ে আছেন। শিবসেনার একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীর কিছু বিধায়কের বিধায়ক পদ আদালতের রায়ে খারিজ হয়ে গেলেও সরকার টিকে যাবে। কংগ্রেসের ৪৪ বিধায়কের অর্ধেক সরকারের পাশে থাকবে।
চন্দ্রকান্ত খয়ের, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷ তাঁর দাবি, কংগ্রেস বিধায়ক দলে বিভাজন আছে।
তবে কংগ্রেস জোরালোভাবে খয়েরের বক্তব্যের নিন্দা করলে তিনি বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু জল্পনা তাতে থেমে থাকেনি।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলের বক্তব্য, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছেন খয়ের। তাঁর নিজের দল নিয়ে চিন্তা করা উচিত। তাঁর দলেরই বিধায়করা শিবির বদল করায় উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে।
পাটোলের প্রতিক্রিয়ার পরে খয়ের বিবৃতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান। তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বিপদে পড়লে ফড়ণবিশ কংগ্রেসকে ভাঙার চেষ্টা করবেন, এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি।
যদিও এত জবাবদিহি, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণের পরও খয়েরের বক্তব্য নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ রাজ্যে সফল করতে ব্যস্ত কংগ্রেস নেতাদের এখন বিধায়কদের দল ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে প্রতি মুহুর্তে৷