দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে । ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে কোর্ট। সেই শুনানিতেই মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি । সেইসঙ্গে সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছে, জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করা যাবে।
আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে নামিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি বলেছে, লেনদেনের অধিকাংশটাই মানিকের স্ত্রী ও ছেলের মারফত হতো।
ইডি আগেই জানিয়েছিল, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নামের একজনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই মৃত্যুঞ্জয় মারা গিয়েছেন ২০১৬ সালে। ওই অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতে প্রশ্ন তুলেছে, যিনি ২০১৬ সালে মারা গিয়েছেন তাঁর নাম কী করে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে রেখে দেওয়া হল। ইডি এও বলেছে, টাকা এদিক-ওদিক করার জন্যই এই অ্যাকাউন্টে মৃত ব্যক্তির নাম রেখে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ইডি মানিকের মামলার যে কেস ডায়েরি জমা দিয়েছিল তাতে উল্লেখ করেছিল তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যও এই দুর্নীতিতে যুক্ত। ইডির দাবি, শৌভিক কয়েকশ বিএড কলেজ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তুলতেন। কয়েক ডিজন শেল কোম্পানির মাধ্যমে মানিক যে টাকা ঘোরাতেন তার বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মানিকের স্ত্রী এবং ছেলে।
মানিককে ইডি গ্রেফতার করেছিল। তবে সিবিআইও বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তাঁকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় গ্রেফতার করতে পারেনি। এখন জেলবন্দি মানিককে জিজ্ঞসাবাদ করতে চায় সিবিআই। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে।আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷