INS Vikrant: যাত্রা শুরু ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিমানবাহী রণতরী INS বিক্রান্তের, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

0
754

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নৌবাহিনীর শক্তি বাড়িয়ে এবার যোগ দিল দেশি প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী INS বিক্রান্ত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষা চালানোর পর শুরু হল এই রণতরীর কর্মজীবন। কেরালার কোচিতে কোচিন শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে নৌবাহিনীতে যোগদান। ৪৫ হাজার টনের এই রণতৈরি তৈরি করতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। INS বিক্রান্ত (INS Vikrant) বাহিনীতে যোগ দিতেই নিজেদের তৈরি যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া চিনের মতো দেশগুলির সঙ্গে একসারিতে ঢুকল ভারত। INS বিক্রান্ত ( INS Vikrant)-এর সঙ্গে এদিন নতুন নিশানও পেল ভারতীয় নৌসেনা ।

উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নৌবাহনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

এ দিন আনুষ্ঠানিক সূচনার পর মোদী বলেন, ‘আজ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে শিপইয়ার্ডের সব ইঞ্জিনিয়ার, বৈজ্ঞানিক ও শ্রমিক যাঁরা এই স্বপ্ন সত্যি করতে পেরেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই।’ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এই এয়ারক্রাফট কেরিয়ারের এয়ারবেসে যে স্টিল লাগানো হয়েছে, সেটাও দেশেই তৈরি। ডিআরডিও-র গবেষকদের প্রযুক্তিতে ভারতীয় সংস্থা সেই স্টিল তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদী বলেন, ‘আগে ভারতের জন্য যা কল্পনাও করা যেত না, এবার সেটাই সত্যি হল।’

কোচির শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে এই রণতরী। ওজন প্রায় ৪০ হাজার টন। এটি বিমানবাহী রণতরী (INS Vikrant) ‘বিক্রান্ত’ ক্লাসের প্রথম যুদ্ধজাহাজ। বিক্রান্ত কথার অর্থ হল সাহসী বা পরাক্রমী। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পূর্ব-পশ্চিম দুই সীমান্তেই যখন লড়ছে ভারত, তখন পরাক্রম দেখিয়েছিল ভারতের রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত।

৩৬ বছর ভারতীয় নৌসেনার হয়ে কাজ করার পর পুরনো হয়ে পড়া বিক্রান্তকে (INS Vikrant) বাতিল করে দিতে হয় ১৯৯৭ সালে। ভারতের গর্ব সেই যুদ্ধজাহাজের স্মরণেই দেশের প্রথম এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের নামও রাখা হয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত।

২৬২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ মিটার প্রস্থের এই বিমানবাহী রণতরীর (INS Vikrant) ডেকে মিগ-২৯ এর মতো যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে। ১৪টি ডেক রয়েছে এই জাহাজের (INS Vikrant)। ২৩০০টি কামরা।

জাহাজের নাবিক-সহ মোট ১৭০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলা অফিসারদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ফলে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে। এক সঙ্গে ৩০টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে বিক্রান্ত থেকে। 

৪৫ হাজার টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তির এই রণতরি তৈরিতে। এই বিপুল পরিমাণ স্টিল দিয়ে সহজেই তৈরি হতে পারে চার চারটি আইফেল টাওয়ার। এই রণতরী দেড় হাজার সেনাসদস্য ও ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এটি লম্বায় ২৬২ মিটার। টানা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে এই রণতরী।

গত কয়েক বছর ধরে চিনের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। লাদাখে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে ভারত এবং চিনের সেনার। প্রতিরক্ষাবিদদের আশা, সমুদ্রপথে যদি চিন কখনও ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে তবে তা ঠেকাতে ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারে আইএনএস বিক্রান্ত।

Previous articleNarendra Modi: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে দেশে নয়া মেরুকরণ তৈরি হয়েছে :মোদী
Next articleDRAMA: নাট্যসেতুবন্ধন ২০২২ এর আয়োজনে বজবজের অঙ্গন নাট্য সংস্থা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here