অর্পিতা বনিক ,বনগাঁ: গণেশকে নতুন সূচনার দেবতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের পাশাপাশি জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার দেবতা হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। গত দুবছর করনাকালে অতিমারির জন্য সেভাবে পুজো করে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা , অনেক প্রাণ চলে গিয়েছে এই মহামারীতে। তবে এ বছর সকলের মঙ্গল কামনা করে, ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধির কামনা করে আড়ম্বরের সাথে গণেশ পুজোতে মাতলেন বনগাঁ দিঘীর পাড় (গনেশ কমিটি) ব্যবসায়ীরা।
এই উৎসবে হিন্দুরা গণেশ দেবকে আর্থিক দেবতা-এর বার্ষিক আগমন হিসেবে উদযাপন করে । উৎসবটিতে গণেশের মাটির মূর্তিগুলি ব্যক্তিগতভাবে বাড়িতে এবং সর্বজনীনভাবে প্যান্ডেলে স্থাপন করা হয় । পালনের মধ্যে রয়েছে বৈদিক স্তোত্র এবং হিন্দু গ্রন্থের জপ , যেমন প্রার্থনা এবং ব্রত । প্রাত্যহিক প্রার্থনার নৈবেদ্য এবং প্রসাদ, যা প্যান্ডেল থেকে সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। মোদক মিষ্টি গণেশের প্রিয় বলে মনে করা হয়, যা অনেক সময় প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়।
করনাকালের পর আবারও গণেশ পুজোয় মাতলো বনগাঁ দিঘীর পাড় (গনেশ পুজো কমিটি) ব্যবসায়ীরা। বনগাঁ কোর্টরোডের গনেশ পুজো কমিটির গনেশ পুজো শহরের অন্যতম পুজোর মধ্যে একটি। তবে গত দু’বছর সেভাবে পুজো হয়নি এখানে। কিন্তু এবার সমস্ত ব্যবসায়ীরা মিলে এই পুজোর আয়োজন বড় করে করেছে বলে জানান ব্যাবসায়ীরা ।
পুজো কমিটির প্রধান অরুণাভ মজুমদার জানান যে, ‘অতি মারির কারণে আমরা আমাদের অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি । গত দু’বছর খুবই সামান্যভাবে পুজো করে কাটানো হয়েছে। তবে এ বছর আমরা সবাই অনেক ধুমধাম করে এই পুজোর আয়োজন করছি । ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় অসংখ্য ব্যবসায়ী ৷ এবার গণপতি বাপ্পার আরাধনার মাধ্যমে সকলের মঙ্গল কামনা করে যেন ক্ষতি কাটিয়ে লাভের আশা দেখতে পারি এই উদ্দেশ্য নিয়েই বড় করে আমরা এই গনেশ পুজো আয়োজন করছি।’