দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলা সংবাদিক জগতে নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন সংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস । দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই লড়াই থেমে গেল তাঁর । এদিন সকাল ৬টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সংবাদজগত।
দীর্ঘদিন মুম্বইয়ে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। পরে অবশ্য রাজ্য সরকারের তৎপরতায় কলকাতায় এনে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। প্রথমে এস এসএসকেএম ও পরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা হয় স্বর্ণেন্দুর।
দীর্ঘদিন সংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। খবর সংগ্রহ করাই ছিল তাঁর মূল মন্ত্র। খবরের খিদেতে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে দৌড়ে বেড়াতেন তিনি। নিজের শরীরে ক্যানসার বাসা বাধার পরেও তিনি দমে যাননি। চিকিৎসা করিয়েছেন আবার নেমে পড়েছেন বুম হাতে খবরের খোঁজে।
তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেন। টুইট করে তিনি লেখেন, ‘কলকাতার তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের মৃত্যুর খবর শুনে মন ভেঙে গেল। আমি তাঁর পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
Heart broken to hear about the demise of Swarnendu Das, a young journalist from Kolkata. The world of journalism lost a very sharp mind today.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 23, 2022
I offer my deepest condolences to his family, loved ones and colleagues.
মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট রিটুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
মমতার পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শোকজ্ঞাপন করেছেন। তিনি লেখেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কাজের প্রতি নিষ্ঠা তাঁর এতটুকুও কমেনি। ওঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।’
প্রয়াত হলেন টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাস। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ক্যানসার কেড়ে নিল প্রতিভাবান এই সাংবাদিককে।
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 23, 2022
২০১৪ থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কাজের প্রতি নিষ্ঠা এতটুকু কমেনি।
ওনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও পরিবারবর্গ, বন্ধুগণ ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। pic.twitter.com/7QKXz9rYUe
২০১৪ সালে বিরল ক্যান্সার ধরা পড়ে স্বর্ণেন্দু দাসের। এরপর টানা লড়াই চালিয়েছেন তিনি। তবে এক মুহূর্তের জন্যও কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাননি। কৃষক পরিবারে জন্ম। বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কাজের প্রতি ছিল তাঁর অক্লান্ত ভালবাসা। সেই ভালবাসার জোরেই খবরের চ্যানেলে অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক থেকে বুলেটিন প্রোডাকশন কিংবা দিনভর অলি গলি ঘুরে খবর সংগ্রহ করা, সবেতেই নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। সেই স্বর্ণেন্দু আজ পরপারের পথে পাড়ি দিলেন। রেখে গেলেন বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছোট্ট মেয়েকে।