দেশের সময়: পুত্রসন্তান দরকার। আর তাই তান্ত্রিকের কথা মতো স্ত্রীকে সবার সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করতে বাধ্য করলেন স্বামী। জঘন্য এ কাজে প্রশ্রয় দিলেন বধূর শ্বশুরবাড়ির বাকিরা।
মহারাষ্ট্রের পুনের এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী, বধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের নামে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে এক তান্ত্রিকও রয়েছে।
পুলিশের দাবি, মহিলা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পণের দাবিতে এবং পুত্রসন্তান না হওয়ায় তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে। পুত্রসন্তানের জন্য তাঁর উপর বেশ কয়েকবার কালাজাদু প্রয়োগ করা হয়েছে।
থানায় মহিলা তাঁর অভিযোগে বলেছেন, সম্প্রতি এক তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই তান্ত্রিক নিদান দেন, প্রকাশ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করতে হবে তাঁকে।
এটা করলেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবেন তিনি। সেইমতো তাঁকে রায়গড় জেলায় নিয়ে আসা হয়। তার পর একটি জলপ্রপাতের সামনে নিয়ে এসে প্রচুর লোকজনের সামনে পোশাক খুলে স্নান করতে বাধ্য করা হয়।
পুলিশের দাবি, ওই মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর সম্পত্তির বিনিময়ে ব্যবসার জন্য ৭৫ লাখ টাকা লোন নিতে চেয়েছিলেন স্বামী। এজন্য তাঁর সই জাল করার চেষ্টা করেন। পুলিশ মহিলার সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।