দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শিয়ালদহ বনগাঁ শাখায় এবার নতুন রেল পথে জুড়তে পারে উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর৷ মছলন্দপুর স্টেশন থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত নতুন রেল পথ তৈরি করার সম্ভাবনা নিয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিলেন শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম এবং এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর৷
স্বরূপনগরের বাসিন্দাদের বহু দিনের সমস্যা রয়েছে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মছলন্দপুরে আসতে হয়৷ ট্রেন ধরতে গিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে হয় ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে৷ ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলপথে স্বরূপনগরকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ যদিও তার পরে সেভাবে কাজ এগোয়নি৷
ফের একবার স্বরূপনগরকে রেলপথে যুক্ত করার উদ্যোগ শুরু হল৷ এ দিন রেলের বিশেষ কোচে চড়ে মছলন্দপুর স্টেশনে আসেন শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম এস পি সিং৷ রেলের ইনস্পেকশন কোচের ভিতরেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ তারপরে স্বরূপনগরের দিকে রেল লাইন নিয়ে যাওয়া সম্ভব কোন পথে ধরে তা পরিদর্শন করেন ডিআরএম এবং সাংসদ সহ রেলের আধিকারিকরা৷ এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল।
বৈঠক শেষে শান্তনু ঠাকুর জানান, রেল উদ্যোগী হলেও এই প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ণের জন্য রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন৷ কারণ প্রকল্পে সবথেকে বড় সমস্যা জমি অধিগ্রহণ৷ ফলে রাজ্য সরকারের তরফে জেলাশাসক প্রকল্পে ছাড়পত্র না দিলে কাজ এগোবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সাংসদ৷ জমি অধিগ্রহণে জটিলতা না হলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোবে বলেই আশা প্রকাশ করেন শান্তনু ঠাকুর৷
স্বরূপনগরকে রেল পথে যুক্ত করার উদ্যোগে দারুণ খুশি এলাকার বাসিন্দারাও৷ তাঁরা বলছেন, পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা, চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রতিদিনই স্বরূপনগরের বহু মানুষকে বারাসত বা কলকাতার দিকে আসতে হয়৷ তার জন্য মছলন্দপুর পর্যন্ত আসতেই অনেক টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হয়৷ সময়ও লাগে প্রচুর৷ আবার বেশি রাতের দিকে অনেক সময় মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত যাওয়ার কোনও যানবাহনও পাওয়া যায় না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা৷