পিয়ালী মুখার্জী : মাস ছয়েক আগে নরেন্দ্রপুরের রানিয়ার বাসিন্দা অভীক মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় বাংলাদেশের বাসিন্দা কৃষ্ণার৷ সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়৷ অভীককেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কৃষ্ণা৷ কিন্তু ভারতে আসার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না তাঁর কাছে৷
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সুন্দরবনের জঙ্গল ঘেরা পথে নদী পেরিয়ে এপার বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ঢোকার পরিকল্পনা করেন ওই তরুণী৷ দিন কয়েক আগে বিপদে ভরা জঙ্গল পথ পেরিয়ে নেমে পড়েন মাতলা নদীতে৷ যে নদীতে যখন তখন বাঘ- কুমিরের মুখে পড়ার আশঙ্কা৷ কিন্তু সেই সব বিপদের তোয়াক্কা না করেই এক ঘণ্টা ধরে নদী সাঁতরে এ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কৈখালীতে ঢুকে পড়েন কৃষ্ণা৷ সেখান থেকে তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে আসেন প্রেমিক৷ প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সেরে ফেলেন দু’ জনে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, চার দিন আগে ভারতে ঢুকেছিলেন কৃষ্ণা৷বিয়ের পর সুখেই সংসার করছিলেন দু’ জনে৷ কিন্তু প্রেমের জন্য কৃষ্ণার এই সাহসিকতার কাহিনিই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে৷
কিন্তু প্রেমের জন্য তাঁর এই জীবন পণ করার গল্পই কাল হল! তরুণীর নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার এই গল্প পুলিশের কানে পৌঁছতেও দেরি হয়নি৷ এর পরই সোমবার রানিয়া এলাকায় হানা দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ৷ বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণাকে৷ আজই তাঁকে আদালতে পেশ করবে পুলিশ৷