দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার শ্রীনগরে গুলিবিদ্ধ ২। যে দু’জনের ওপর গুলি চলেছে, তাঁরা ব্যবসায়ী। তাঁদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২ টা নাগাদ শ্রীনগর এলাকায় পর পর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। বোমাও ফাটানো হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
শিব মন্দির মিলনী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা রাজু ঘোষ ও শান্তনু রায় ওরফে বঙ্কা। রাজু ঘোষ পেশায় ব্যবসায়ী। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতীতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই রাজুর নামে। সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, এই ঘটনা ঘটিয়েছে রাজু ঘোষের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকই।
রাজু ঘোষের নিজস্ব দোকান রয়েছে। বুধবার রাতে দোকানের সামনেই তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। রাজুর পাশেই ছিলেন শান্তনু। গুলিবিদ্ধ হন তিনিও। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই দুই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে তাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে যায় হাবড়া থানার বিশাল বাহিনী।
রাজু ও শান্তনুর ওপর কেন গুলি চালানো হয়েছিল, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। হাবড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সীতাংশু দাস জানান, এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও শত্রুতা থাকলেও থাকতে পারে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাবড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যে এক জনকে আটক করেছে। আরও কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে হাবড়া থানার পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “ওরা এসেছিলই, পুরনো একটা বদলা নিতে। আমরা এলাকা শান্ত রেখেছি। তার মানে আরেকটি পলিটিক্যাল পার্টি চেষ্টা করছে এলাকা অশান্ত করার।
আমি খোঁজ নিয়েই বলছি। যে করেছে, তার নাম মিন্টা। তাকে মাদক কেসে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। বহু বছর জেল খেটেছিল। চার-পাঁচ মাস হয়েছে সে ছাড়া পেয়েছে।”
অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “এটা পুরোটাই গোষ্ঠীকোন্দল। ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াই চলছে। এটাই স্পষ্ট। সাধারণ মানুষকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে বলব। “ ছবিগুলি তুলেছেন দেবানন্দ পাইন৷