দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।
শনিবার আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পূর্বে অগ্রসর হবে নিম্নচাপ। রবিবার সন্ধেয় নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী মঙ্গলবার অশনি উত্তর অন্ধ্র–ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। ‘অশনি’র প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাংলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ‘অশনি’ মোকাবিলায় তৎপর নবান্ন। সুন্দরবন, কাকদ্বীপে আগাম সতর্কতা জারি হয়েছে। এদিকে, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার ১৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খুরদা রোড, কটক, গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎ সিং পুর, কেন্দ্রাপাড়া, জজপুর, ভদ্রক, বালাসোর, নয়াগড়, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝর, ঢেঙ্কানল, মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড় এবং কান্ধামালে সতর্কতা জারি হয়েছে। খোলা হবে কন্ট্রোলরুম। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হবে দ্রুত।
৬টি উপকূলবর্তী জেলায় স্যাটেলাইট ফোন ও ডিজিটাল মোবাইল রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল কোথায় হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলায় কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কি না, তা স্পষ্ট জানায়নি মৌসম ভবন।
সতর্কতা বাড়ছে এ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের ও সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে।