দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বছর ঘুরতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। করোনা বা অন্য কোনও বিপর্যয়ের কারণে ভেস্তে না গেলে, হিসেব মতো আগামী বছর মে মাসে ভোট হওয়ার কথা। এ জন্য আগামী ৫ মে প্রস্তুতি অভিযানে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
ওই দিন বাইপাসে দলের অস্থায়ী পার্টি অফিসে বৈঠক ডেকেছেন নেত্রী। বৈঠকে তৃণমূলের কার্যকরী কমিটির সমস্ত সদস্য, জেলা সভাপতি, পঞ্চায়েতের সভাধিপতি, পার্টির সমস্ত জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, গণসংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের ডাকা হয়েছে।
ভোটের প্রায় একবছর আগেই মুখ্যমন্ত্রী দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে চাইছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই জেলা সফরও শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে তৃণমূল নেত্রী কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা আরও একটি সিদ্ধান্তে স্পষ্ট। নেত্রীর কালীঘাটের বাড়ির উল্টো দিকে দলের একটি নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। ৩ তারিখ তিনি সেটির উদ্বোধন হবে। ওই বাড়িতে থাকবে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত দলীয় কাজকর্ম দেখভাল করার পৃথক বন্দোবস্ত। এছাড়া দলের অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট বা হিসেব রাখার কাজও ওই বাড়ি থেকে করা হবে।
তৃণমূলের নতুন দলীয় দফতর তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইপাসের ধারে একটি হোটেল থেকেই দলের কাজ চলবে। ৩ তারিখ সেই নতুন দফতরও উদ্বোধন হবে। ৫ তারিখ হবে পঞ্চায়েত নিয়ে পার্টির সম্মেলন।
পঞ্চায়েত নিয়ে মমতার এই তৎপরতা অবশ্য খুবই স্বাভাবিক। কারণ গ্রাম বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটই হতে যাচ্ছে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সেমিফাইনাল। পঞ্চায়েত–পুরসভা হাতে থাকলে লোকসভা–বিধানসভার অর্থেক লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা যায়, এটা অজানা তথ্য নয়। তাছাড়া আগামী লোকসভা নির্বাচনকে তৃণমূল শুধু বাংলা কেন্দ্রিক নয়, গোটা দেশের নিরিখে দেখছে।
ইতিমধ্যেই তারা গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মনিপুরে সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার গ্রাম দখলে রাখা গেলে, ওইসব রাজ্যেও সংগঠন বিস্তারে অনেক সুবিধা হবে। ফলে অতীতের তুলনায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তৃণমূল এবার আরও বেশি সক্রিয়।
সেকারণে, আগামী একবছর দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলির কাজকর্মে পার্টি সরাসরি নজরদারি চালাবে। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, ইত্যাদি সরকারি কর্মসূচিগুলিতে পঞ্চায়েতকে আরও বেশি করে যুক্ত করা হবে। যাতে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলির ওপর মানুষের আরও বেশি আস্থা–ভরসা জন্মায়।