Bengali Rituals: নববর্ষের আগে শিবের গাজনে মাতোয়ারা বাংলা! চড়ক নিয়ে রইল কিছু তথ্য

0
501

দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃ গাজন পশ্চিমবঙ্গে পালিত একটি হিন্দু লোকউৎসব। এই উৎসব শিব, নীল, মনসা ও ধর্মঠাকুরের পূজাকেন্দ্রিক উৎসব। মালদহে গাজনের নাম গম্ভীরা, জলপাইগুড়িতে গমীরা। বাংলা পঞ্জিকার চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়।

বনগাঁ জয়পুর গ্রামবাসীবৃন্দের চড়ক পুজা৷

চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ধর্মের গাজন সাধারণত বৈশাখ, জৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পালিত হয়। চৈত্রমাস ছাড়া বছরের অন্যসময় শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হলে তাকে ‘হুজুগে গাজন’ বলা হয়। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা।

গাজন পশ্চিমবঙ্গে পালিত একটি হিন্দু লোকউৎসব। এই উৎসব শিব, নীল, মনসা ও ধর্মঠাকুরের পূজাকেন্দ্রিক উৎসব। মালদহে গাজনের নাম গম্ভীরা, জলপাইগুড়িতে গমীরা। বাংলা পঞ্জিকার চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়।

চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। ধর্মের গাজন সাধারণত বৈশাখ, জৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পালিত হয়। চৈত্রমাস ছাড়া বছরের অন্যসময় শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হলে তাকে ‘হুজুগে গাজন’ বলা হয়। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা।

বাংলা জুড়ে পালিত হল বাঙালির ঐতিহ্যে এই গাজন উত্‍সব। গাজনের সন্ন্যাসী বা ভক্তরা নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রনা দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে ইষ্ট দেবতাকে সন্তোষ প্রদানের চেষ্টা করেন। গাজন উপলক্ষ্যে তারা শোভাযাত্রা সহকারে দেবতার মন্দিরে যান। শিবের গাজনে দু’জন সন্ন্যাসী শিব ও গৌরী সেজে এবং অন্যান্যরা নন্দী, ভৃঙ্গী, ভূতপ্রেত, দৈত্যদানব প্রভৃতির সং সেজে নৃত্য করতে থাকেন। শিবের নানা লৌকিক ছড়া আবৃত্তি ও গান করা হয়।

চৈত্রসংক্রান্তির গাজনে কালী নাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড বা গলিত শব নিয়ে নৃত্য বা মড়াখেলা (কালিকা পাতারি নাচ)। জৈষ্ঠমাসে মনসার গাজনে মহিলা সন্ন্যাসী বা ভক্ত্যারা অংশ নেয়, তারা চড়কের সন্ন্যাসীদের মতোই অনুষ্ঠান পালন করে।

গাজন’ কথাটি এসেছে ‘গর্জন’ শব্দ থেকে। গাজন সন্ন্যাসীরা জোরে জোরে গর্জন করেন। ‘দেবাদিদেব মহাদেবের জয়’, ‘জয় বাবা বুড়ো শিবের জয়’, ‘ভাল বাবা শিবের চরণের সেবা লাগে’ ইত্যাদি ধ্বনি দিয়ে। শিব ঠাকুরের জয়ধ্বনিতে মুখর হয় গ্রামের আকাশ বাতাস। আর একটি মত হল—গা’ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর ‘জন’ বলতে বোঝায় জনসাধারণ। গ্রামীণ জনসাধারণের উৎসব তাই নাম হয় ‘গাজন। জনশ্রুতি হল গাজন উৎসবের দিন শিবের সঙ্গে।

কালীর বিবাহ হয়। আর গাজন সন্ন্যাসীরা হলেন। বরপক্ষ। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়কপুজোর উৎসবের সঙ্গে শিবের গাজন শেষ হয়। আর ধর্মের গাজন অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী বুদ্ধপূর্ণিমায়। অনেক সময় জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় পূর্ণিমায় ধর্মের গাজন হয়। গাজন উৎসব উপলক্ষে মেলা বসে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে শিবের উপাসক বাণ রাজা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজের গায়ের রক্ত দিয়ে নৃত্যগীত পরিবেশন করেছিলেন। তাই শৈব সম্প্রদায়ের ভক্তগণ শিবের প্রীতির জন্য আত্মনির্যাতন করে গাজন উৎসবের আয়ােজন করেন। আগে সমাজের পতিত ব্রাহ্মণেরা গাজন। 

পুজো করতেন। এই পূজার বিশেষত্ব হল কুমীর পুজো, জ্বলন্ত কয়লার ওপর খালি পায়ে হাঁটা, কাঁটা, বঁটির ওপর ঝাঁপ দেওয়া। সর্বাঙ্গে বাণ ফোঁড়া, চড়ক গাছে ঝোলা ইত্যাদি।

Previous articleBengali New Year: নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া! বাংলা নববর্ষে নানা আয়োজন বনগাঁয়
Next articleপলাশ বনের কথা:শাশ্বতী চ্যাটার্জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here