দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়…
বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামে পৌঁছে তিনি কথা বলেন সিট সদস্যদের সঙ্গে। দুই পরিবারের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রামপুরহাটের ঝলসে যাওয়া সেই বগটুই গ্রামের নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁকে দেখেই কান্নার রোল উঠেছে গ্রামজুড়ে।
বগটুইয়ে নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের পুরনো বাড়ির উঠোনে এদিন জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। সকলেই ভাদু শেখের পরিবারের সদস্য। সেখানেই যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি গ্রামে পা রাখা মাত্র কান্নার রোল ওঠে একটি বাড়িতে। শুনতে পেয়ে সেখানেই ঢোকেন মমতা। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। বেরিয়ে এসে বলেন, আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে, এমন কেস দিতে হবে যাতে জামিন না হয়। আনারুল স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত।
মমতা বললেন, ‘‘আমি কিছু শুনতে চাই না। কড়া ব্যবস্থা নিন। একে পেলাম, ওকে পেলাম না— এ সব আমি শুনব না’’ ‘‘ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গেলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।’’
মমতা বললেন, ‘‘যাঁরা জেনেও পুলিশকে ঠিক মতো কাজে লাগায়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভাদু শেখকে মারার ঘটনা খারাপ। তার পর যা হয়েছে, তা-ও অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’
‘‘এলাকায় সব সময় পুলিশ পিকেটিং থাকবে। যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছে, তাঁরা এক লক্ষ টাকা করে পাবেন। জীবনের বিকল্প চাকরি হয় না। সঙ্গে আরও ছয় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে যাঁদের, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। তিনটি বাচ্চাকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।’’
রামপুরহাটে যাওয়ার পথে শ্রীনিকেতনের কাছে আটকানো হল অধীর চৌধুরীর গাড়ি-
বগটুইয়ে যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যদিও তার আগে দফায় দফায় তাঁর গাড়ি আটকানো হয়েছে বলা দাবি করা হয়েছে। বোলপুরে ঢোকার আগে রেলসেতুর কাছে ডাম্পার খারাপ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে আটকে পড়ে অধীর চৌধুরীর গাড়ি। কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে চলতে শুরু করে ডাম্পার। এরপর ফের শ্রীনিকেতনের কাছে বাধা দেওয়া হয় তাঁর গাড়িকে। এদিকে এরপরই শ্রীনিকেতনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন অধীর-সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘কাল মুখ্যমন্ত্রী বললেন পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশ নয়, আমরা কাউকে যেতে বাধা দিচ্ছি না, দেব না, সবাই চাইলেই যেতে পারে রামপুরহাট, বগটুই গ্রাম। কিন্তু এই অবাধ প্রবেশ কি শুধু বিজেপির জন্য? প্রদেশ কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে আটকানো হল কেন? মুখ্যমন্ত্রী তখন কলকাতায়, কিন্তু কয়েকশো কিমি দূরে বোলপুরে আমাকে আটকানো হল কেন?’ এরই পাশাপাশি বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলল কংগ্রেস।