Abhishek Banerjee: দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চলছে জেরা

0
416

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত সূত্রে দিল্লির ইডি দফতরে হাজির হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে নতুন তথ্য মিলেছে, সেই নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি এই সূত্র ধরে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নোটিস দিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, ইডি-র ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রুজিরা। কিন্তু এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে নথিভুক্ত হল না।

সোমবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে ইডির সমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিষেক পত্নী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ‘তালিকাবদ্ধ মামলায় প্রভাব পড়বে’ এমনই উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করেন।

সোমবার সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, নতুন তথ্যের ওপরই জেরা করা হবে তাঁকে। এমনকি তাঁর দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে অভিষেককে।


প্রসঙ্গত, ইডির এক্তিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে এর আগেও দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এবার তাঁর স্ত্রী একই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, ইডি-র দফতরের তিন তলার একটি ঘরে তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ চলছে। কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, কয়লা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে এসেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর রয়েছে তাদের। অভিষেককে সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসেও দিল্লিতে তলব করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। টানা ৮-১০ ঘণ্টা চলে জেরা পর্ব। এরপরই ইডি সমন থেকে অব্যাহতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেবার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পিছনেও রাজনৈতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, “শুনানির পর তিন মাস রায় দায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। চার রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপি জেতার পরই আমার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।”

দিল্লি যাওয়ার আগেও অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “মাথা নত করার প্রশ্নই আসছে না। বাংলায় ওরা হেরে গিয়েছে। তাই গায়ের জ্বালায় এসব করছে। এসব করে কি আর বাংলার মানুষকে বোকা বানাতে পারবে ওরা?”

কলকাতায় ইডির অফিস আছে। সেখানে আমাকে দশবার ডাকুক ক্ষতি নেই। দশ বার ডাকলে দশ বার যাব। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হেনস্থা করতেই দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে।

Previous articleWest Bengal: রাজ্যে এবার সরকারি স্কুলের পোশাক নীল-সাদা রঙের, থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগো!
Next articleThe kashmir files: প্রত্যেক ভারতীয়র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখা উচিত, মন্তব্য করলেন আমির খান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here