দেশের সময় ওয়ে ডেস্কঃ বনদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আরও আট সপ্তাহ বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল এই মামলা। আগামী সাত সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পরের শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির পর হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল ৫ মার্চের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে। এ দিন রাজ্যের তরফে তদন্ত প্রক্রিয়া কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, একটি ফোন কলের রেকর্ড তদন্তের জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট আসতে আরও চার সপ্তাহ লাগবে বলে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ডিভিশন বেঞ্চকে জানান। তারপর ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত জানায়।
গত শুনানিতেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এই সময়ে মুকুলবাবু নদিয়া জেলায় ঢুকতে পারবেন না। যদি তদন্তের কাজে তাঁকে ডাকা হয়, তবেই তিনি নদিয়ায় যেতে পারবেন। সেই সঙ্গে ডিভিশন এও বলেছিল, যদি মুকুলবাবুকে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে অন্তত চব্বিশ ঘণ্টা আগে তাঁকে নোটিস দিতে হবে। প্রথম শুনানির সেই নির্দেশগুলি এ দিনও বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
সরস্বতী পুজোর রাতে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করেছিল আততায়ীরা। তার পরেই তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব এবং জেলার পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, খুনে নেপথ্যে মুকুল রায়ের হাত রয়েছে। পরদিন এ ব্যাপারে থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট অভিযোগ জানানো হয় মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে।
এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই মুকুলবাবু চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানানোর পাশাপাশি দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে। মুকুল শিবিরের অভিযোগ, যে ভাবে তৃণমূল বিরোধীদের ‘শায়েস্তা’ করতে মিথ্যে মামলা ঠুকে দেয়, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও একই কায়দা নিয়েছে তারা।