দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড গ্রাফ। দেশে সংক্রমণের সুনামিতে দিশেহারা প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আজ রবিবার বিকেলে আর কিছু ক্ষণ এর মধ্যে রিভিউ মিটিং করবেন। সংক্রমণে লাগাম দিতে দিশার খোঁজে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর করোনা পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী । সেসময় সরকার উদ্বিগ্ন ছিল। কারণ, দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৭০০০ যা এখন তার ২০ গুণেরও বেশি। এই বৈঠক এমন একটি সময় ডাকা হয়েছে যখন দেশে গত একদিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,৬৯,৬৩২ জন। মনে করা হচ্ছে দেশের করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে তার কারণ গত বছর ২৯শে মে করোনা সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা ছিল ১,৬৫,৫৫৩। বর্তমানে দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৫,৯০,৬১১জন। পজিটিভিটির হার ১০.২১ শতাংশ। যা বেশ উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর সঙ্গে রয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া। গত অক্টোবরে আফ্রিকায় প্রথম যে ভ্যারিয়েন্ট এর দেখা মিলেছিল আজ তা ভারতের ২৭টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬২৩।এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর করোনা পর্যালোচনা বৈঠকে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সুপার তিনি সজাগ ও সতর্ক থাকতে বলেছিলেন।
গত বৈঠকের সময় দেশে করোনা কিসের দৈনিক বৃদ্ধি ছিল প্রায় ৭ হাজার। যা এখন ১ লক্ষ ৬০ হাজারের কাছাকাছি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমাদের সতর্ক ও সাবধান থাকার প্রয়োজন।”
এরইমধ্যে পাঁচ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ মানুষ ভোট দান করবেন এই নির্বাচনে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে ৭ মার্চ। ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ। করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে কোনওরকম সভা-সমিতি বা মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।