দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: জেলা সফরে সোমবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর স্টেশনে দেখা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ট্রেনেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন তাঁর পছন্দের খাবারও।
বিভিন্ন সময়ে বোলপুরে এলেই চাপ,মুড়ি খান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চপ, মুড়ি প্রীতি সম্পর্কে বেশ ভালই জানেন তাঁর প্রিয় ‘কেষ্ট’ অর্থাৎ বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তাই সুযোগ পেয়েই প্রিয় ‘দিদি’র জন্য চপ, মুড়ি নিয়ে এলেন অনুব্রত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদা সফরের আগে বোলপুর স্টেশনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চপ, মুড়ি তুলে দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এদিন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জেলা জেলাশাসক বিধান রায় অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার কথা থাকলেও, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে হাওড়া থেকে ট্রেনে মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাতে মালদহে থাকবেন। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেই বৈঠক হবে কর্ণঝোরায়। ৮ ডিসেম্বর বুধবার মালদহে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আসবেন মুর্শিদাবাদে। ৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর সেদিনই ফিরে আসবেন কলকাতায়। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বোলপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় নিউজলপাইগুড়িগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস।
সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরি, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ সহ দলের নেতা ও কর্মীরা। ছিলেন জেলা শাসক বিধান রায় ও জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।
ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেরে নেন অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর পছন্দের খাবারও। অন্যদিকে দেখা গেল, জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে বেশ কিছু কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা বলতে চাননি কেউই। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘উনি যেমন প্রশাসনিক প্রধান, তেমনি উনি আমাদের দলের নেত্রী। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে বা নেত্রীর পছন্দের কী খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে তাও বলতে রাজি হননি অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় সূত্রে খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের ঘরে ভাজা মুড়ি, আলুর চপ, খেজুরের গুড়ের তৈরি মণ্ডা সহ আরও বেশ কিছু পছন্দের খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।