হাবড়ায় জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বুস্টিং স্টেশন, : জ্যোতিপ্রিয়

0
437

আত্মজিৎ চক্রবর্তী, হাবড়া: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বহুদিন ধরেই৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফি বছর বর্ষার সময় অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে হাবড়া পুরসভার ৭, ৮ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। আর এবছর বৃষ্টির পরিমান বেশি হওয়ায় সেই সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে। জমা জল বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা রয়েছে। এর ফলে এই এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভও রয়েছে।

সেই জল যন্ত্রনার হাত থেকে চিরস্থায়ী মুক্তির ব্যবস্থা করলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ রবিবার এলাকা পরিদর্শন করে জলমগ্ন মানুষদের এব্যাপারে আশ্বস্ত করলেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরসভার বর্তমান প্রশাসক নারায়ন সাহাও।

বনমন্ত্রীর কথায়, হাবড়ার অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ পদ্মা খাল। অথচ সেই খালের অনেক জায়গাই জবরদখল হয়ে রয়েছে। ফলে জল বেরিয়ে না যেতে পেরে পুরসভা এলাকার মধ্যে জমে থাকছে।
পদ্মা খালের জবরদখল উচ্ছেদ করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। রবিবার জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে এসে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘বর্ষার অতিরিক্ত জলের পাশাপাশি অশোকনগর এবং হরিনঘাটা থেকেও জল ঢুকে পরছে হাবড়ার নিচু এলাকাগুলিতে। ফলে কড়াইয়ের মতো পরিস্থিতি হয়ে থাকা এইসব জায়গাগুলি থেকে জমা জল সহজে বের না হওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পরছেন পুরসভা এলাকার বেশ কিছু পরিবার।’‌ 

তিনি আরও বলেন, জমা জল বের করার জন্য গত বছরের মতো এবছরও পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত ১০ টি যন্ত্র আগামী ১৫ দিন ধরে এই জমা জল বের করে দেওয়ার কাজ করবে। জমা জল সরে গেলে হাবড়াতে বুস্টিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হবে। এরজন্য ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্প কার্যকরী করার জন্য হাবড়া পুরসভার পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি জায়গাও কেনা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন , ‘ আগামী দুমাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এই কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও পাকাপাকিভাবে জলমগ্ন হবার ঘটনা বন্ধ হবে এবং এই এলাকার মানুষ এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করি।’‌

Previous articleদেশে ১০০ কোটি টিকাকরণে দাবি আসলে জুমলা, বিস্ফোরক মমতা
Next article১৬ নভেম্বর বাংলায় খুলছে স্কুল-কলেজ, তবে সব ক্লাস নয়, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here