দেশের সময় ওযেব ডেস্কঃ শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারির পর রবিবার রাতে সুপারস্টারের মুম্বইয়ের বাংলো মন্নত-এ গেলেন সলমন খান । শাহরুখের বাড়ির দরজায় সলমনের রেঞ্জ রোভারের দেখা মিলতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ছুটে যায় ফটোগ্রাফারের দল। গাড়ির সামনের সিটেই বসে ছিলেন সলমন। বাইরে জড়ো হওয়া ভিড়ের দিকে হাত নাড়ান তিনি। সলমনের গাড়ি ঢুকে যায় ভিতরে। সম্ভবতঃ ছেলের গ্রেফতারিতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়া শাহরুখের পাশে থাকার বার্তা দিতেই সলমন তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। ছেলে গ্রেফতার হয়েছে, খবর পেয়ে শাহরুখকেও দেখা যায় বাড়ি থেকে বেরতে। জানা যায়, ছেলের হয়ে মামলা লড়তে আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দের কাছে যান তিনি।
কর্ডেলিয়া ক্রুইসেস এমপ্রেস শিপে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি । তারপরই আটক করে জেরার পর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ধরা পড়েছেন। এঁরা হলেন আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। ৪ অক্টোবর অর্থাত সোমবার পর্যন্ত তিনই এনসিবি হেফাজতে থাকবেন। আরিয়ানকে নিষিদ্ধ মাদক রোধ আইনের ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ ও ৩৫ ধারায় গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাদের দাবি, জেরায় সুপারস্টার তনয় স্বীকার করেছেন, তিনি মাদক নিয়েছেন, তবে এই প্রথম। এনসিবি তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে মাদক খাওয়া, বিক্রি, কেনার অভিযোগে। মুম্বই-গোয়া প্রমোদ তরণী থেকে তল্লাসি চালিয়ে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ (এক্সট্যাসি)বড়ি, নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পেয়েছে এনসিবি।
এনসিবি টিম যাত্রীর ছদ্মবেশে গোয়াগামী ক্কুজে চেপে অভিযান চালায়। প্রমোদতরী মুম্বই ছাড়তেই পার্টি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
রবিবার আরিয়ানকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আর কে রাজেভোঁসলের সামনে আরিয়ানকে হাজির করা হলে এনসিবির কৌঁসুলি দাবি করেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত, নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরস মাধ্যমে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। একটা পুরো চক্র গড়ে উঠেছিল।
পাল্টা মানেশিন্দে জামিনের দাবি করে বলেন, কেবলমাত্র চ্যাট মেসেজের ভিত্তিতেই আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে! আরিয়ানের নামে ওই ক্রুজের কোনও টিকিট, কেবিন বা সিট ছিল না। এমনকী বোর্ডিং পাসও নয়। ওঁর কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। পার্টির উদ্যোক্তারা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছ থেকে নিষিদ্ধ সেবনের বস্তু মেলেনি।