বিশ্ব নদী দিবসে নদীর জন্য পৃথক দফতর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সবুজ মঞ্চ নদী বাঁচাও কমিটির

0
611

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার নদীগুলি বিপন্ন। রবিবার বিশ্ব নদী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জলসম্পদ দফতর এবং পরিবেশ দফতরে চিঠি দিল সবুজ মঞ্চ রাজ্য নদী বাঁচাও কমিটি । রাজ্যের নদীগুলির সংঙ্কটের কথা তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে। নদী দূষণ ও খনন অবাধে বালি তোলার জন্য নদীগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ কমিটির। তাঁদের আবেদন, নদী সংক্রান্ত আলাদা মন্ত্রক তৈরি করে বিষয়টি দেখার।

চিঠিতে তাঁদের আবেদন, নদীর সমস্যার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মৎসজীবী, কৃষিজীবী ও নদীকেন্দ্রিক জীবন জীবন–জীবিকার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। তাই রাজ্যের সমস্ত নদ–নদীর জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা হোক। নদী দূষণ রুখতে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। নদী পুনরুজ্জীবনে এনজিটি নির্দেশিত নদীগুলির ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সেইসঙ্গে নদীকে একটি জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে দেখতে হবে। নদী দখল, দূষণ রুখতে পঞ্চায়েত, পুরসভাকে নির্দেশিকা পাঠাতে হবে। সবমিলিয়ে ১০ টি আবেদন তাঁদের। নদী সংক্রান্ত সমস্যাগুলির দূর করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি কমিটির।

সংগঠনের এক সদস্যের কথায় , নদীর সঙ্গে বহু মানুষের জীবন – জীবিকা যুক্ত। কিন্তু নদী গুলি নানা ভাবে অবহেলিত। তাই সেগুলি সংস্কার করা না হলে আরও অসংখ্য মানুষের রুটি রুজি হারাবে৷ সংস্কারের জন্যই দরকার বিশেষ প্রশাসনিক উদ্যোগ। পৃথক দফতর সেই কারণেই প্রয়োজন।

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নদী পরিষ্কার করেছে কমিটি। যার মধ্যে রয়েছে ইছামতী। এদিন নদী থেকে বিশ্বকর্মার প্রতিমার কাঠামো তোলেন কমিটির সদস্যরা। দুর্গাপুজোর আগেই বিসর্জনজনিত দূষণ বন্ধ করার আবেদন জানান। ক্লাব ও বাড়ির পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে কমিটির অনুরোধ, প্রতিমা বিসর্জনের পরই দ্রুত কাঠামো তুলে ফেলতে হবে। প্রতিমার রঙে থাকা রায়াসনিক মাছ সহ নদীতে থাকা প্রাণীদের পক্ষে ক্ষতিকারক।

Previous articleসোমবার দেশে ধর্মঘট, রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা
Next articleজীবন যুদ্ধের রণাঙ্গনে বীর যোদ্ধা টুকু দাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here