দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জমা জলে বিপর্যস্ত শহর, আন্ডারপাসে ডুবে গেল বাস! রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। বুধবারের রাত থেকেই একটানা বৃষ্টি চলেছে। বৃষ্টি বেড়েছে বৃহস্পতিবার। যার জেরে শহরের বহু জায়গায় জল জমে রয়েছে। আজ, শুক্রবার দমদম, পাতিপুকুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। সকালে পাতিপুকুর আন্ডারপাসে একটি বাস জমা জলে আটকে পড়ে। কোনও রকমে বাস থেকে নেমে রেহাই পান যাত্রীরা। বাসটি উদ্ধারে ক্রেন আনা হচ্ছে। জলের তলায় রেললাইন। অনেক স্টেশনে আটকে ট্রেন।
জমা জল নামাতে কলকাতা পুরসভা ৭৫টি পাম্পিং স্টেশন থেকে প্রায় ৪৫০টি পাম্প চালাচ্ছে বলে দাবি। জমা জল বার করার জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত লকগেট খোলা রাখা হয়েছিল বলেও পুরসভা সূত্রের খবর। শহরও শহরতলির বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে।জল নামানো নিয়ে পুরসভার বক্তব্য, ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে জল তাড়াতাড়ি নেমে যেতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ মিলিমিটারের বেশি৷
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেছিলেন, তেমন বৃষ্টি হয়নি। কিছু কিছু নিচু জায়গায় জল জমে গেছে। তবে তাড়াতাড়ি সরেও গেছে। কিন্তু জল জমার যে ছবি উঠে আসছে, তাতে অস্বস্তিতে পুরসভা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪৭ মিলিমাটার। প্রকাশকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় ঠিকাদাররা পাম্প বন্ধ রাখায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
জল নামতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও ঠনঠনিয়া, মুক্তরাম স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রি, ট্যাংরা, খিদিরপুর, আলিপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বেহালার অবস্থাও শোচনীয়। জমা জলে বিপর্যস্ত নিউটাউনের এলাকংশ। সকাল থেকে কলকাতা পুরসভা কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। কোনও নাগরিক সমস্যায় পড়লে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন বলেও জানান হয়েছে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। তাই কলকাতায় জমা জলের সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।