দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অভিনব ভাবে একুশের মঞ্চে এদিন ফোনে আড়িপাতার প্রতিবাদ করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
এদিন তিনি তাঁর ফোনের ক্যামেরাটাই লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দিয়েছেন। ২১-এর বক্তৃতার মূল সুরটাই মমতা বাঁধলেন গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও তার বিকল্প সন্ধানে। “মমতার কথায়, গণতন্ত্রের বদলে দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে। সকলের মুখ বন্ধ।” তৃণমূল নেত্রীর যুক্তি এটাই এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় স্ক্যান্ডেল।
পেগাসাস কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না থাকলেও রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের নাম। মমতা স্পষ্টই বললেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে অহরহ যোগাযোগ রাখেন। কাজেই তিনিও একরকম ট্যাপড। মমতার কথায়, “শরদ পাওয়ার, চিদম্বরম কাউকে ছাড়েনি। আমি পিকে, অভিষেক সাথে ভোটের আগে মিটিং করেছিলাম। তার অডিও নিয়ে নিয়েছিল।” আর এই কারণেই এদিন মমতার প্রতীকী প্রতিবাদ ছিল এটাই।
তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, “আমি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি না। কারণ ফোন ট্যাপ হচ্ছে। তাই ফোনই প্লাস্টার করে দিয়েছি। তবে ভারত সরকারকে প্লাস্টার করতে দেবো না। ওরা থাকলে দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। এমনকি নিজেদের মন্ত্রী অফিসারদেরও ফোন ট্যাপ করে নিয়েছে। এমনকি বহু বিচারপতির ফোন ও ট্যাপ হয়েছে। ওরা আমাদের গণতান্ত্রিক স্তম্ভটাকেই ধ্বংস করতে চাইছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা সংবাদ মাধ্যম সব কিছু ধ্বংস করতে চাইছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট মত, দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে। কথায় কথায় তুলে আনলেন রবীন্দ্রনাথের পঙক্তি- কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে বাঁশি সংগীতহারা। মমতা সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর নাম নিয়ে এদিন আরও বলেন, আপনি এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের ডিসটার্ব করেন। আপনি কখনও শলা পরামর্শ করেন না। বাংলার জনতা আপনাকে সুযোগ দিল না।
বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়, মোদী সরকারকে অপশক্তি চিহ্নিত করে তার বিকল্প জোট গড়ে তোলারই ডাক দিচ্ছেন মমতা। এবং সেই জোটের অনুপ্রেরণা হবে বাংলার নির্বাচন এমনটাই ইঙ্গিত তাঁর। এদিন কথায় কথায় ফ্রন্টের কথা বললেন তিনি। মমতার মত, “সব দল একসাথে কাজ করতে হবে। একটা ফ্রন্ট তৈরি করুন। আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমি সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতাদের সাথে দেখা করব। একটা বৈঠক ডাকুন। “