দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস। এই প্রথম রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হতে চলেছে এই দিনটি। কোভিড পরিস্থিতির জন্য এবারের ২১ জুলাইয়ের সভা হবে ভার্চুয়াল।কলকাতার পাশাপাশি জেলার সর্বত্র চলছে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি রাজ্যজুড়ে লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। কোথাও চলছে বাউল গান, কোথাও বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের ২১শে জুলাইয়ের সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দুপুর ২ টোয় কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবন, ধর্মতলার শহিদে বেদিতে ‘সাজ সাজ’ রব।
বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ গাইঘাটার শিমুলপুরের শিঙ্গল গ্রামে শহিদ রঞ্জিত দাসের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান৷ গোপাল শেঠ জানান ,দুপুর ২ টোয় কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বনগাঁর সমস্ত মানুষ ঘরে এবং পথে চলতে চলতে যাতে দিদির বার্তা শুনতে পায় তার জন্য শহর জুড়ে লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন এবং প্রজেক্টর এর মাধ্যমেও নেত্রীর বার্তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
এদিন ১৩ জন শহিদদের স্মরণে বনগাঁয় ইছামতী নদীতে তর্পণ করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। পুরোহিত ডেকে মন্ত্র পাঠ করে, শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় সকাল থেকে তর্পণ পাঠ চলে। একথা জানিয়ে বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর আঢ্য বলেন,দিদিকে অনুসরণ করেই আজ শহিদদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে বনগাঁর মানুষ কোভিড বিধি মেনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন ৷
রাজ্যে বিজেপি বধের পর এবার কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে যুদ্ধের ডাক দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মোদী-শাহের গড় গুজরাট, যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও জায়েন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে বাংলা থেকে পৌঁছে যাবে মমতার ভাষণ। এমনকী, দিল্লিতেও তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতার ভাষণ শোনানো হবে।
তৃণমূল ভবনের বাইরে বানানো হয়েছে অস্থায়ী শহিদ বেদি। সেখানে স্ক্রিন বসিয়ে নেত্রীর ভাষণ শোনানো হবে। সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূলের ধর্মতলার শহিদ বেদিতে মালা দেন, সায়নী ঘোষ, বিশ্বজিত্ দেব, জাভেদ খানরা থাকবেন। সাড়ে ১২ টা নাগাদ শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দুপুর ১টা নাগাদ শহিদ স্মরণে রাজ্য ও ভিনরাজ্যের প্রতিনিধিরা। বিধায়কদের নিজেদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে জায়ান্ট স্ক্রিন বা টিভিতে ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুপুর ২টোয় বক্তৃতা শুরু করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই থিয়েটার রোডে পৌঁছে গেছেন ফিরহাদ হাকিমরা।
একুশের উদযাপন ঘিরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। করোনার কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালিত হবে তৃণমূলের শহিদ দিবস। শহর থেকে ব্লকে, প্রতিটি গ্রামে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে অনুষ্ঠান দেখানোর আয়োজন। দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরাতেও থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। তৎকালীন ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীকে বাম সরকারের পুলিশ হত্যা করে বলে অভিযোগ মমতার। এরপর থেকেই শহিদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল । কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই দিনটাকে ভোলেননি মমতা। বরং, এই দিনেই নতুন শপথ নেন তিনি। এই একুশের শহিদ তর্পণ মঞ্চ কখনও হয়ে উঠেছে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ, কখনও বাম সরকারকে অপসারণ করার জন্য সেই শপথের মঞ্চ। আর এবার চব্বিশে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুপুর ২ টোয় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার দিকে নজর রয়েছে বাংলা তথা গোটা দেশের।