দেশের সময় ওয়েবভেস্কঃ ৭১-এ পা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু অভিনেতার জন্মদিনের শুরুটা ভাল হল না বলেই মনে করছেন তাঁর ভক্তরা।
বাংলায় ভোট প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এদিন মানিকতলা থানার পুলিশ তাঁকে সেই মন্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিনেতাকে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচারে কিছু সংলাপের ব্যবহার করেছিলেন মিঠুন। যেগুলি ভোট পরবর্তী হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
একুশের ভোটে বিজেপির তারকা প্রচারক ছিলেন মিঠুন। দু’মাস ধরে বাংলার একাধিক প্রান্তে ঘুরে ঘুরে গেরুয়া দলের হয়ে প্রচার করেছেন তিনি। অভিনয় জগতে তাঁর জনপ্রিয়তা অবিদিত নয়। ভোটের ময়দানেও তাই পর্দার ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’কে দেখতে বেজায় ভিড়ও হয়েছিল। রাজনীতিতে বিনোদনের ডায়লগ ঢোকাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মিঠুন।
ভোট প্রচারে মিঠুন বলেছিলেন তাঁর বহু চর্চিত সংলাপ, ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, মিঠুন চক্রবর্তীর ওই মন্তব্য ছিল উস্কানিমূলক। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় তা ইন্ধন জুগিয়েছে।
প্রসঙ্গত ,একুশের নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে সভা করেছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই সভায় মিঠুন বক্তব্য দিতে উঠে তাঁর ছবির ডায়ালগ ব্যবহার করেছিলেন। সেই সংলাপটি ছিল, ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে।’ এছাড়াও বলেছিলেন, ‘এক ছোবলেই ছবি।’ তিনি এই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছিলেন।
এরপরই ৬ মে তৃণমূলের তরফে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পাল্টা হাইকোর্টে আবেদন করেন মিঠুন। তিনি আদালতকে জানান, সংলাপের মাধ্যমে কোনওভাবেই হিংসা ছড়ানোর পক্ষে তিনি নন বা ছড়ানওনি। মনোরঞ্জনের জন্য ওই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছিলেন মাত্র।
এরপর মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিঠুন। সূত্রের খবর, তখনই অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মিঠুন জানিয়েছেন, তিনি কেবলমাত্র সংলাপ বলেছেন। তা বাস্তবে প্রয়োগের কোনও ইচ্ছে বা মতলব ছিল না তাঁর। তিনি চাননি এই মুখের কথাকে সত্যি ধরে নিয়ে কেউ হিংসা ছড়াক। তবে বিতর্ক তাতে থামেনি এখনও।