দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ কলাইকুণ্ডাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত রইলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটিতে প্রোটোকল মেনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর হাতে ইয়াসে বাংলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য, পরিসংখ্যান তুলে দেন মমতা।
তারপর আর সেখানে অপেক্ষা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর চপার উড়ে যায় দিঘার উদ্দেশে। বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ দিঘা কনভেনশন সেন্টারে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ রাতে সেখানেই থাকবেন তিনি। কাল দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন মমতা।
গতকালই মমতা বলেছিলেন, “কালকে প্রধানমন্ত্রী কলাইকুণ্ডায় আসছেন। আমায় বলেছেন থাকার জন্য। আমি মিট করব।”কিন্তু এদিন সকালে সেই বৈঠকে কারা থাকবেন তার তালিকা সামনে আসতেই গোল বাঁধে। দেখা যায় ওই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের পাশাপাশি নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এরপরই নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দু থাকলে মমতা যাবেন না বৈঠকে। এই নিয়ে যখন নবান্ন-নয়াদিল্লি বার্তা চালাচালি চলছে তখন রাজ্য বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হয় বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বীকৃতি দেওয়ার নথি।
গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়, শুভেন্দুকে ডাকা হয়েছে বিরোধী দলনেতা হিসেবে। বিজেপি নেতা বা নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে নয়। বিজেপি নেতারা আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা মন্ত্রীর সমান। যাঁদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধ্যান ধারণা নেই তাঁরাই আপত্তি জানাচ্ছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা থাকলেন না প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে। প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ইয়াসের দুপুরে জানিয়েছিলেন, তিন লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিতে নোনা জল ঢুকে চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলার এক কোটি মানুষ দুর্যোগ কবলিত। তারপর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এসবই প্রাথমিক হিসেব। তারপর জেলাগুলিকে বলা হয়েছিল ক্ষয়ক্ষতির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দেওয়ার জন্য। এদিন সেসবই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।