দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নারদ মামলায় রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। বুধবার পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত ১টা ১০ নাগাদ তাঁদের নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত কান্না জড়ানো গলায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমাকে বাঁচাতে দিল না।’ একদিকে ফিরহাদের যখন চোখে জল, তখন কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গেল মদন মিত্রের গলায়। ক্ষুব্ধ মদন বলেন,’আমরা খারাপ। শুভেন্দু-মুকুল ভালো।’
এদিন রাত ১টা ১০ নাগাদ ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ,সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেস থেকে বার করা হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি পপুলার। পপুলার হওয়াটা অন্যায় নয়। আজ আমার জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রার্থনা করছে। ক্ষুব্ধ ফিরহাদ আরও বলেন,’ আমি সিবিআই-এর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করিনি! কেন আমার জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। এবার হয়তো ইডি দিয়ে গ্রেফতার করাবে। আমাকে করোনা মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে যাতে কারওর কোনও অসুবিধা না হয়, সকলে যাতে টিকা পায় আমার কাজ ছিল সব দিকে নজর রাখার।’ এরপরেই কার্যত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ফিরহাদ। কান্না জড়ানো গলায় বলেন, ‘কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না।’
এদিকে মদন মিত্রের গলায় ছিল ক্ষোভের ছোঁয়া। নারদ কাণ্ডে অন্যতম দুই অভিযুক্ত মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মদন। এই নেতা বলেন, ‘আমরা খারাপ। শুভেন্দু-মুকুল ভালো।’ তাঁর মন্তব্যে কটাক্ষ ছিল স্পষ্ট। এখানেই শেষ নয়, মদন মিত্র আরও বলেন,’আমার স্ত্রী আইসোলেশনে ছিল।
কিন্তু সেসব না মেনে বেডরুমে ঝুকে পড়ে সিবিআই৷ মানুষ সব দেখছে।’ অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমাকে বেড রুম থেকে তুলে আনা হয়েছে। কেন আমাদের জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল?’ প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার পুরসভার প্রাক্তন মেয়র। এদিকে এই তিন নেতা নিজেদের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেও নীরবই ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।