দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর জন্য তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিল শাসকদল। দেখা গিয়েছিল, গোটা ভবন মুড়ে ফেলা হয়েছে একটাই স্লোগানে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়!’
তারপর সেই স্লোগান, কলকাতা শহর ছাড়িয়ে, জেলা, মফস্বল, গাঁয়ে গঞ্জে ছড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল।
রবিবাসরীয় মধ্যাহ্নে যখন ভোট গণনা মাঝ গগনে তখন দেখা যাচ্ছে, বাংলা নিজের মেয়েকেই চাইছে। এখনও পর্যন্ত (বেলা দু’টো) যা ট্রেন্ড তাতে ২০৭-র বেশি আসনে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় উৎসব শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। দিদির বাড়ির সামনেও লাউড স্পিকারে বাজছে খেলা হবে, আকাশে উড়ছে সবুজ আবির। একুশের চ্যালেঞ্জ জয়ের আনন্দে কোথাও কোথাও কোভিড বিধিও লাটে উঠছে বলে অভিযোগ।
এখনও পর্যন্ত যা এগিয়ে থাকার ট্রেন্ড তাতে স্পষ্ট, লোকসভা ভোটে যে এলাকায় তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি ধসিয়ে দিয়েছিল বিজেপি, একুশের বিধানসভায় সেই সেই এলাকাতে গেরুয়া শিবিরের ভোট ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে তৃণমূল।
এমনকি কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মালদহ, মুর্শিদাবাদেও ব্যাপক জয়ের পথে তৃণমূল। বেলা পৌনে একটার সময় প্রথম যে কেন্দ্র থেকে জয়ের খবর এল তা হল মালদহের সুজাপুর। প্রয়াত গণিখান চৌধুরীর ঘরের মাঠে তাঁর পরিবারের সদস্য কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীকে পরাস্ত করে জয় পেয়েছে তৃণমূল। অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদেও বিপুল জয়ের পথে তৃণমূল। এমনকি বহরমপুরেও বিপুল ভোটে পিছিয়ে কংগ্রেস। যদিও এই কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
এদিন দুপুরে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বিজেপির উদ্দেশে টিপ্পনি কেটে বলেন, “ওরা গুজরাত থেকে এসে বলেছিল, ইস বার দোশো পার! বাংলার মেয়ে সেটা করে দেখাল।”