দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়া-অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার দিন শেষ হওয়ার পথে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও বেশি নম্বর পেতে পারে সে জন্য নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এ বছর যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে চলেছে, তারাও পেতে চলেছে এই সুযোগ।
এতদিন পর্যন্ত কোনও ছাত্রছাত্রীর বোর্ডের পরীক্ষার রেজাল্ট মনের মতো না হলে পরের ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া তার কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না। স্বাভাবিকভাবে একটা বছর অপেক্ষা করে থাকতে হত। কিন্তু নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতিতে পরীক্ষার এই বিষয়টি আগের তুলনায় অনেক হাল্কা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও বেশি নম্বর পেতে পারে যে জন্য একাধিকবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আগামী মে মাস থেকে সিবিএসই-র বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিবিএসই চলতি বছর থেকেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা থেকেই নিয়ম পরিবর্তন করতে চলেছে। যার ফলে পরীক্ষায় আরও বেশি নম্বর পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে পরীক্ষার্থীদের কাছে।
নয়া নিয়ম অনুসারে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পারফরম্যান্স আরও ভালো করার একটি সুযোগ দেওয়া হবে। যে কোনও একটি বিষয়ে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে তারা। মূল পরীক্ষা অব্যবহিত পরেই প্রস্তাবিত এই কমপার্টমেন্ট পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। এর মধ্যে যে পরীক্ষায় নম্বর বেশি উঠবে সেটি মার্কশিটে যুক্ত হবে বলে সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে তাদের একটি কম্বাইন্ড মার্কশিট দেওয়া হবে বলেও কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে। যদি কোনও ছাত্রছাত্রী দুটির বেশি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের উন্নতি করতে চায়, তবে তাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে এবং পরের ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষায় বসতে হবে।
সম্প্রতি সিবিএসই-র তরফে পরীক্ষা কাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে যে রোটে লার্নিং মডেলের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয়। নয়া ব্যবস্থায় তা পরিবর্তন করে প্রতিনিয়ত সমস্যা সমাধানের পারদর্শিতার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতার মান মাপা হবে। আগামী ৩ থেকে ৪বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে বদলে ফেলা হবে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি। এই নতুন পরীক্ষা কাঠামোর ফলে আগামীদিনে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও অঙ্ক, এই তিন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে বলেই দাবি সরকারের।