দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গ্রীষ্মের পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই । শনিবার আরও কিছুটা বাড়ল তাপমাত্রা। ভোরের দিকে শীতের আমেজও বিদায় জানিয়েছে বঙ্গবাসীকে। ফলে ফুল স্পিডে ফ্যান চালানোর পাশাপাশি এসির রিমোট হাতড়াতে শুরু করেছেন অনেকেই। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবার আরও একধাপ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ ডিগ্রিতে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে কুয়াশার আস্তরণ ঘিরে রেখেছিল শহরকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সূর্যের আলো তীব্রতর হয়ে উঠছে। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। তবে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই শহরে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যদিও হাওয়া অফিসের দাবি, আগামী দু’দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকবে কলকাতার আকাশ।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিসের মোরগ। তবে উত্তরবঙ্গ ভিজলেও, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, সাফ জানাচ্ছে মৌসম বিভাগ।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা এবং বিহারেও পাল্লা দিয়ে বাড়বে গরম, জানিয়েছে আইএমডি-র ওয়েবসাইট। একমাত্র ওড়িশার ফুলবনিতে শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে, এ কথাও জানানো হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে। উল্লেখ্য, গতকাল ফুলবনির তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে, তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন এলাকা- জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশে। আইএমডি-র তথ্য মোতাবেক, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তুষার ঝড় হবে। জম্মু-কাশ্মীর , লাদাখ, গিলগিট, বালিস্তান এবং মুজফরাবাদে পাঁচ দিন ধরে তুষার ঝড়ের পরিস্থিতি থাকবে।