বঙ্কিমচন্দ্র-বিভূতিভূষণের বাড়ি ঘুরে জুটমিল কর্মীর বাড়িতে আজ মধ্যাহ্নভোজ নাড্ডার

0
660

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন ৷ একুশের নির্বাচনে বাংলার রঙ বদলাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বঙ্গজুড়ে পদ্ম ফোটাতে প্রতি সপ্তাহে বিজেপি হাইকম্যান্ডের আনাগোণা এরাজ্যে। মোদী-শাহের পর আজ বৃহপতিবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার টার্গেট বাংলা। প্রত্যাশিত মধ্যাহ্নভোজ থেকে মনীষীদের সম্মাননা সবই রয়েছে বিজেপি হাইকম্যান্ডের এদিনের সূচিতে।

বাংলার তৃণমূলের নয়া স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’-এর জবাবে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ নামে বিজেপি-এর নয়া কর্মসূচির সূচনা করবেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর বিষয়ে মতামত নেবে পদ্মশিবির। সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেই আলোচনায় যেসব প্রস্তাব ও পরামর্শ উঠে আসবে, তা মাথায় রেখেই একুশের ভোটের ইস্তেহার বানাবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী ইস্তেহার বানানোর এই রেওয়াজ চোখে পড়েছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেও। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালেও একই পদ্ধতি নিয়েছিল কেন্দ্রের শাসকদল।

বুধবার রাতে জেপিনাড্ডাকে বিমানবন্দরে গিয়ে স্বাগত জানান মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

আজ ব্যারাকপুরে রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করবেন নাড্ডা। তারপর দুপুরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁঠালপাড়া নাড্ডার গন্তব্য। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ও মিউজিয়াম দর্শনের পর নৈহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক দেবনাথ যাদব জুটমিল কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে দুপুরের খাবারের পর্ব সারবেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি। মেনুতে থাকছে দু’রকম ডাল, পোস্তর বড়া, লাল শাক ভাজা, আলু ভাজা, করলা ভাজা, বেগুন ভাজা, এঁচোড়-আলুর তরকারি ও পনিরের পদ। এছাড়াও থাকছে আমের চাটনি ও পাপড়। শেষ পাতে বাঙালি বাড়ির গুড়ের পায়েস, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ, মিষ্টি দইয়ের ব্যবস্থা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতিতে সকাল থেকে সাজ সাজ রব।

এদিন সায়েন্স সিটিতে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে দেখা করার কথা নাড্ডার। ব্যারাকপুরে আনন্দপুরী কালীবাড়িতেও যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও মঙ্গল পাণ্ডের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, একুশের মহাযুদ্ধে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ডাক দিয়েছেন মোদী-শাহরা। ভোটমুখী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মুখেও এই শব্দবন্ধ শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি অমিত শাহের ‘সোনার বাংলা’ শব্দবন্ধকে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘২০১৪ সালে আপনারা ভোটে জিতেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনেও জিতেছেন। তাহলে সোনার ভারতবর্ষ গড়তে পারছো না কেন? সোনার অসম, সোনার ত্রিপুরা, সোনার উত্তর প্রদেশ, সোনার হরিয়ানা, সোনার মধ্যপ্রদেশ হচ্ছে না কেন? এখন মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে বলছে সোনার বাংলা গড়বে!’

Previous articleমদের বোতল আর লটারি থেকে টাকা তুলছে তোলাবাজ ভাইপো: ফের তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী
Next article‘বাংলায় দেড় কোটি-দু’কোটি লোককে চাকরি দিয়েছি’, দাবি মমতার, কী বললেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী !

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here