দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার সন্ধ্যায় নেতাজী জয়ন্তীর অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর ভিক্টোরিয়ায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হতে পারে তা আগেই দেশের সময়-এ লেখা হয়েছিল। হলও তাই।
বেশি কথা হওয়ার অবকাশ এদিন ছিল না। তবে জানা গিয়েছে, নবাগত নেতার কাঁধে হাত রেখে এদিন মোদী বলেছেন, “শুভেন্দু বহুত আচ্ছা কাম হো রাহা হ্যায়!”
এর আগে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে ভিক্টোরিয়ায় অভ্যর্থনা জানাতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। তখন নরেন্দ্র মোদীর পাঁ ছুঁয়ে তাঁকে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে।
ভিক্টোরিয়ায় অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় চা চক্রে মিলিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতারাও। আলাদা আলাদা টেবিলে তাঁরা ভাগ করে বসেছিলেন। সেরকমই একটি টেবিলে বসেছিলেন শুভেন্দু। মোদী ঘুরে ঘুরে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। তারপর শুভেন্দুদের টেবিলের সামনে আসতেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতার কাঁধে হাত রেখে এ কথা বলেন মোদী।
এক মাস চার দিন হল শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই খান কুড়ি সভা, রোড শো সেরে ফেলেছেন তরুণ এই নেতাটি। আর সেসব বক্তৃতা থেকে ঝরে পড়ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আক্রমণ। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, হাটের মাঝে শুভেন্দুকে কাঁধ ঝাঁকিয়ে দিয়ে মোদী আসলে দুটি জিনিস করতে চেয়েছেন। এক, শুভেন্দুকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন। এবং দুই, পাশে যাঁরা বসে ছিলেন তাঁদেরও বুঝিয়ে দিলেন যে তাঁর কাছে খবর রয়েছে যে শুভেন্দু ভাল কাজ করছেন।
শুভেন্দুকে যে বিজেপি গুরুত্ব দিচ্ছে তা ১৯ ডিসেম্বর বিকেলেই বোঝা গিয়েছিল। মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় ফেরার চপারে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ। তারপর গত এক মাসে দেখা গেছে শুভেন্দুর সাংগঠনিক গুরুত্বও বেড়েছে। রাজ্যের নির্বাচনী সংক্রান্ত কাজ পরিচালনার জন্য একটি কমিটির গড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। তাতে রয়েছেন শুভেন্দু। তা ছাড়া জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভার সদস্যের সমতুল পদ।তবে অনেকের মতে, শুভেন্দুর উপরেও এতে চাপ বাড়ছে। কারণ, তাঁকেও প্রত্যাশাপূরণ করে দেখাতে হবে।