দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: ভোটের আগে দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে সরকার। এ বার বকেয়া কমিশনের দাবিতে শ্রম দফতরের ঠিকা শ্রমিকরা ধুন্ধুমার ঘটালেন সরকারের দুয়ারে।
সোমবার ঠিকা শ্রমিকদের সম্মেলনে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের বাইরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। মন্ত্রীদের সামনেই চলে ভাঙচুর, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই আটকে পড়েন শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। পরে তাঁকে বের করে আনে পুলিশ।
এদিন মূলত শ্রম দফতরের তৃণমূল প্রভাবিত ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠন সেল্ফ এমপ্লয়েড লেবার অর্গানাইজেশনের সম্মেলন ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, সাত মাস ধরে তাঁরা কমিশনের টাকা পাচ্ছেন না। এতোগুলো শ্রমিক, তাঁদের পরিবার, অভুক্ত রয়েছে, অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই।
অসংগঠিত শ্রমিকদের থেকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প খাতে টাকা তোলার জন্য বাম আমলে তৈরি হয় সেল্ফ এমপ্লয়েড লেবার অর্গানাইজেশন। এই শ্রমিকরা নির্দিষ্ট বেতন পান না। তাঁরা শুধু কমিশন পান।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাবি, মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে টাকা তোলা বন্ধ। তাই কমিশনও পাচ্ছেন না। তাঁরা আশা করেছিলেন, আজ অন্তত সরকার ইতিবাচক কিছু ঘোষণা করবে।
কিন্তু তারও কোনও নাম নেই। তাঁদের আরও দাবি, এদিনের বৈঠকে নূন্যতম বেতন কাঠামো, সামাজিক সুরক্ষা ও স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত ঘোষণা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষমেশ ধোঁকা দেওয়া হয়েছে।
ঠিকা শ্রমিকরা যে সংকটে পড়েছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তবে তিনি যে কথা বলেছেন, তা উদ্বেগজনক। তিনি জানান, এ ব্যাপারে যে ওয়েবসাইট ছিল সেটাই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এর জন্য দায়ী একজন অফিসার। তবে শোভনদেব বাবু এও বলেন, “আমি আশা রাখি, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় এঁদের জন্য কিছু করবেন”।