আজ শুভেন্দু অধিকারীর ‘মেগা শো’ তৃণমূল বলছে উনি আমাদের ‘বড় নেতা’

0
1932

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তাঁকে ঘিরে এমনিতেই আগ্রহ ও কৌতূহলের পাহাড় জমে রয়েছে। অনেকে বলেছেন, উৎকন্ঠায় রয়েছে তৃণমূল।
এমনই রাজনৈতিক বাতাবরণে আজ বিষ্যুদবার সেই তিনি, শুভেন্দু অধিকারীর ‘মেগা শো’ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের আরএস ময়দানে।
কী ব্যাপার!
কদিন আগে এক অরাজনৈতিক সভায় এই দাপুটে নেতা বলেছিলেন, “আজ বিশেষ সময় নেই। ১৯ নভেম্বর রামনগরে মেগা শো হবে। সে দিন অনেক কিছু বলব”।

পরিবহণ ও সেচমন্ত্রীর এটুকু কথাই যেন যথেষ্ট। ওমনি দাবানলের মতো জল্পনা ছড়িয়েছে। তা হলে কি উনিশেই একুশের বড় ইঙ্গিত দিয়ে দেবেন শুভেন্দু!


এমনিতে শুভেন্দুর ‘শো’ কেমন হয়, তা গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে দেখা গিয়েছে। সেদিন তাঁর রাজনৈতিক আগ্রাসনও ছিল নজরে পড়ার মতো। যেন কয়েক হাজার ভোল্টেজের ব্যাপার স্যাপার। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সটান চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। স্বাভাবিক কারণেই আজকের সভা নিয়েও আগ্রহ বিপুল।

শুভেন্দুর প্রসঙ্গে বুধবার তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে দলের রাজ্যসভার উপ দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “শুভেন্দু তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য এবং মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী”। শুভেন্দুকে নিয়ে ‘অহেতুক’ জল্পনার জবাব দিতে চাননি তিনি।


সন্দেহ নেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের থেকে তৃণমূলের দলীয় অবস্থানের যোজন দূরত্ব। নাম না করে শুভেন্দু সম্পর্কে সম্প্রতি কল্যাণ যা বলেছিলেন, তা নিয়ে দলের মধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। তুলনায় দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দুর সম্পর্কে সংযত প্রতিক্রিয়াই দিচ্ছে তৃণমূল। তা ছাড়া বরফ গলানোর চেষ্টাও শুরু হয়েছে। দুদিন আগে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে দলের এক প্রবীণ সাংসদের।


তবে জানা গিয়েছে, রণে ভঙ্গ দেওয়ার জন্য শুভেন্দু যে দুই শর্ত রেখেছেন, তা বেশ কঠিন। একটি সূত্রের দাবি, এই দাপুটে তরুণ নেতা দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর দুজনকেই ভোটের দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। তৃণমূলনেত্রীর সরাসরি নির্দেশনায় ভোট ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে হবে।

এই সাত সতেরো পরিস্থিতির মধ্যেই আজ শুভেন্দুর সভা। যা নিয়ে কম বেশি সব শিবিরেরই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, শুভেন্দু আজই হয়তো রাজনৈতিক অবস্থান সাদা কালোয় স্পষ্ট করবেন না। কারণ আজকের সভাও রাজনীতির মঞ্চ নয়। অরাজনৈতির মঞ্চ। ফলে বড় জোর আর এক প্রস্ত ইঙ্গিত দিতে পারেন তিনি। তার বেশি হয়তো আজই নয়।

Previous articleনেতাজির জন্মদিন হোক জাতীয় ছুটি, মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleদিল্লিতে প্রায় ঘরেই করোনা, ২৪ ঘন্টায় কোভিডে মৃত্যু হল ১৩১ জনের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here