দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এনামুলের পর বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার। মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরার পর গরু পাচার কাণ্ডে সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআই। এদিন তাঁকে ডাকা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত তাঁকে জেরা করার পর এদিন গ্রেফতার করা হয়।
সেপ্টেম্বরে সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর সপ্তাহ দুয়েক আগে ফের এই বিএসএফ কর্তার বাড়ি এবং মানিকতলার এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির আধিকারিকরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই গ্রেফতারের পর সতীশ কুমারের সূত্র ধরে আরও ধরপাকড়ের সম্ভাবনা তৈরি হল।
সিবিআই সূত্রের মতে, বিএসএফ কমান্ড্যান্টের গ্রেফতার তাৎপর্যপূর্ণ। আগে কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারকে হেফাজতে নেওয়া হল। কিন্তু শুধু তো এই বিএসএফ কর্তা পাচার কাণ্ডে জড়িত নয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে। ফলে এই গ্রেফতার আরও বড় চক্রের হদিশ দিতে পারে।
এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যান এনামুল। তারপর নিজাম প্যালেসে এসে হাজিরাও দেন।
সেপ্টেম্বরে সল্টলেকের পাশাপাশি মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। জানা গিয়েছিল, এনামুলদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে বিএসএফ ও কাস্টমসের এক শ্রেণির কর্তার। শুধু তাই নয়। এও জানা গিয়েছিল, গরু গুলিকে আটক করার পর তার সাইজ ছোট করে দেখানো হত।
সেই সময়েই অনেকে বলেছিলেন, কাদের বল-ভরসায় এনামুলরা এই পাচার চক্র চালাত তা খতিয়ে দেখতে চাইবে সিবিআই। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক ছাতা না থাকলে এই কারবার চালানো সম্ভব নয়।
এর মধ্যেই আবার কয়লা পাচারের তদন্ত আয়কর দফতরের থেকে হাতে নিয়েছে সিবিআই। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত যে অফিসাররা করছেন তাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআই মনে করছে কয়লা পাচারের মূল অভিযযুক্ত ফেরার অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে এনামুলদের ভাল রকম যোগ রয়েছে। অর্থাৎ গরু পাচার ও কয়লা পাচারের তদন্তের কাজ এক করে করতে পারে সিবিআই।