দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুজো শেষের মন খারাপ অনেকটাই কমিয়ে দেয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মীবন্দনার ব্যস্ততা ঘরে ঘরে। করোনাকালে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়নি। তাই আজ অর্থাত্ লক্ষ্মীপুজো বাঙালির মন ভাল করার রসদ বললে অত্যুক্তি হয় না। ধনধান্যে ভরা সংসারের কামনায় লক্ষ্মী আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মে।
আজ ও কাল দুদিনই কোজাগরী পূর্ণিমা থাকছে। তাই আজ যাঁরা পুজো করতে পারছেন না, তাঁরা কালও করতে পারেন। কোজাগরী পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিটে। পূর্ণিমা শেষ হবে ৩১ অক্টোবর সন্ধে ৮টা ৩১ মিনিটে। অর্থাত্ প্রায় দুদিন ধরে পূর্ণিমা থাকছে।
পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীপুজো: বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী, পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১৩ কার্তিক শুক্রবার ১৪২৭। অর্থাত্ ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২০ সন্ধ্যা ০৫টা ৪৬ মিনিটে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ১৪ কার্তিক, শনিবার ১৪২৭, অর্থাত্ ৩১ অক্টোবর, শনিবার ২০২০ রাত ৮টা ১৯ মিনিটে। পূর্ণিমার নিশিপালন ও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা ১৩ কার্তিক (৩০ অক্টোবর) শুক্রবার।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ কার্তিক শুক্রবার ১৪২৭। অর্থাত্ ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২০ সন্ধ্যা ০৫টা ১৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ১৪ কার্তিক, শনিবার ১৪২৭। অর্থাত্ ৩১ অক্টোবর, শনিবার ২০২০ রাত ৭টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত। পূর্ণিমার নিশিপালন ও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা ১৩ কার্তিক (৩০ অক্টোবর) শুক্রবার।
শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মীপুজোয় কাউকে চাল দান করতে নেই। অন্তত পুজোর দিনে চালদান এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। অন্নভোগ প্রসাদ হিসেবে খাওয়ানো যেতে পারে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কাঁসর, ঘণ্টা বাজানো উলুধ্বনির রীতি রয়েছে। শাস্ত্র বলছে, এই আওয়াজে গৃহস্থ থেকে অলক্ষ্মী বিদায় হয়ে যায়। শুভ শক্তিতে ভরে ওঠে সংসার।