দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত নাজির খানকে আটক করল সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, নাজিরকে গ্রেফতার করা হতে পারে। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার সকালে নিহত মণীশ শুক্লর বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল টিটাগড় থানায় যে এফআইআর করেছিলেন তাতে পাঁচ নম্বরে নাম ছিল নাজিরের। জানা যাচ্ছে, নাজির খান একজন শ্যুটার। মণীশকে হত্যার জন্য তাকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় সোমবারই আটক করা হয়েছিল ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররম এবং শার্প শ্যুটার গুলাব শেখকে। দিনভর তাদের জেরা করেন সিআইডি কর্তারা। তারপর তাদের গ্রেফতার করা হয়। খুররমের সঙ্গে মণীশের দীর্ঘদিনের সংঘাত ছিল। তখন থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল যে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই খুন করা হয়েছে মনীশকে। সিআইডি সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং বাইক চিহ্নিত করে এক আততায়ীকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়। তারপর সেই সূত্র ধরেই ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররমের হদিশ মেলে।
উল্লেখ্য, খুররমের বাবা ছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা। তাঁর খুন হওয়ার ঘটনায় মণীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সিআইডি কর্তাদের অনুমান ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই শার্প শ্যুটারকে সুপারি দিয়ে খুন করিয়েছেন খুররম। ধৃত দুজনকেই মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর। তারপর এদিন দুপুরের আগেই টিটাগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেন মণীশের বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল।
এফআইআরে মোট সাত জনের নামে অভিযোগ করেছেন মণীশের বাবা। তার মধ্যে দু’জন টিটাগড় ও ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা। টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাসের নাম রয়েছে এফআইআরে।
মণীশের বাবা এফআইআরে লিখেছেন প্রশান্ত চৌধুরী এবং উত্তম দাসই তাঁর ছেলেকে খুন করার মাস্টারমাইন্ড। যদিও দুই বিদায়ী চেয়ারম্যানই নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই খুনের ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়া হচ্ছে।