হাতির হামলায় কেউ মারা গেলেও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

0
989

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাতির হামলায় কেউ প্রাণ হারালে তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় হামেশাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে হানা দেয় হাতির পাল। হাতির হানায় যেমন সম্পত্তিহানি হয়, তেমনই প্রাণহানিও হয়। এবার থেকে এভাবে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

তিনি জানান, এতদিন হাতির হানায় কেউ মারা গেলে মৃতের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত। এবার থেকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাতির হানায় কেউ মারা গেলেই সেই পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

এই এলাকায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায়ই জঙ্গল থেকে হাতির দল বেরিয়ে এসে গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে। খেতের ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর, দোকানে হামলা এসবও চলে। ধান ওঠার মরসুমে এই হামলা বাড়ে আরও। হাতির সামনে পড়ে গেলে ঘটে প্রাণহানি। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত।

মাওবাদী হামলায় নিখোঁজদের জন্যেও এদিন ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জঙ্গলমহলে যখন মাওবাদী আন্দোলন চলছিল, সে সময়  থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এখানকার গ্রামের অনেক বাসিন্দা। দশ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

কোভিড পরিস্থিতিতে মাঝে বেশ কয়েক মাস জেলা সফর বন্ধ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই  তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। উত্তরকন্যায় পাঁচ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরেই আজ পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে আসেন। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল বুধবার যাবেন ঝাড়গ্রামে। সেখানেও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি।

Previous articleমণীশ শুক্ল হত্যাকান্ডে ধৃতদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত
Next articleবিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়িতে ‘হামলা’, আঙুল কাটার চেষ্টার অভিযোগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here