‘বিজেপিই সবথেকে বড় মহামারী’, মমতা

0
779

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার ঠিক বিকেল ৪টে হাথরাস কাণ্ডের প্রতিবাদে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল। শুধু তৃণমূলের মিছিল যেন নয়। তা হয়ে উঠল সাধারণ মানুষের মিছিল। পা মেলালেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে এগিয়ে চলল মিছিল। সঙ্গে গান, স্লোগান। ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে এগিয়ে চলল মিছিল। জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভার ধরে ধর্মতলায় পৌঁছে মঞ্চে উঠে বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা। বললেন, “বিজেপিই সবথেকে বড় মহামারী।”

করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের পর ফের এত বড় মিছিলের সাক্ষী থাকল কলকাতা। মেরে-কেটে ২৫ মিনিটে শেষ হয়ে গেল মিছিল। আর তারপরেই মাইক হাতে বিজেপিকে একের পর এক ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করে গেলেন মমতা। তিনি বললেন, তাঁর মন পড়ে রয়েছে হাথরাসে। তাঁর ইচ্ছে করছে ছুটে সেখানে চলে যেতে। তৃণমূলের তরফে পাঠানো প্রতিনিধি দলকে হাথরাসের ১ কিলোমিটার আগে আটকে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের গায়েও হাত তোলা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা।

বিজেপি সরকারের আমলে দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই অভিযোগ করলেন মমতা। তিনি বলেন, “দেশে কোথাও গণতন্ত্র নেই। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে যাচ্ছে। বিজেপির আমলে ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি হয়ে যাচ্ছে। বিজেপিই সবথেকে বড় মহামারী।”

নিজের বক্তব্যে দিল্লির সংঘর্ষের কথা তুলে আনেন মমতা। নিশানা করেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারকেও। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতে সংঘর্ষ হল। সাংবাদিকদেরও খুন করা হল। ক’জন ন্যায় বিচার পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। আমার একমাত্র ধর্ম হল মানবতা। ওরা প্রচার করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা পুজো করতে দেবে না বলেছে। তাহলে যোগী আদিত্যনাথ কেন দুর্গা পুজোর অনুমতি দিচ্ছেন না।”

শুধু হাথরাস নয়, এদিনের সভা থেকে জিএসটি এবং সরকারি সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “জিএসটির টাকা কোথায় গেল? নির্বাচনের আগে ওরা এজেন্সিদের টাকা পাঠায়। কিন্তু নির্বাচনের পরে ওরা এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, বিএসএনএল বেচে দেয়। কোভিডে কী করতে হবে তার অনেক জ্ঞান তারা দিয়েছে। কিন্তু এত মানুষ কাজ হারাল। তাদের জন্য ওরা কী করেছে।”

এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকে রাখতে পারা যাবে না বলেই জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “আমি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বলছে ওদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কতদিন এভাবে আমাদের আটকে রাখবেন? ওই দলিত তরুণী আমার নিজের।”

উওর২৪পরগনার হাবড়ায় প্রতিবাদ মিছিল- ছবি দেবানন্দ পাইন৷

গত কাল হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু তাদের গ্রামের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। হাথরাস কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্যে আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল। আর তার পথ দেখালেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই।

এদিন হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করে বাম ও কংগ্রেসও। তবে, মিছিল করে দুই দলের নেতা-কর্মীরা ধর্মতলা পর্যন্ত আসার পরই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। কারণ অপরদিকে, মেয়ো রোডে মিছিল করে এসে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা।

Previous articleবায়না নেই, মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের!করোনার গ্রাসে দুর্গোৎসবের শহর বনগাঁ
Next articleহাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here