দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু পাচার নিয়ে আগাম খবর পেয়ে তল্লাশিতে নেমেছে সিবিআই। কামদুনি,লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, শিলিগুড়ি, রাজারহাট, কলকাতার তপসিয়া, সল্টলেক-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় মূলত তল্লাশি চলছে।
কলকাতায় সল্টলেকের সিটি সেন্টার টু-এর পাশে এক বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে এই ঘটনার মূল তল্লাশি চলছে। সতীশকুমার এখন কর্নাটকে পোস্টেড। তবে এক সময় তিনি সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন, সে সময়েই গরু পাচারের বিভিন্ন চক্রকে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে সিবিআই মনে করছে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।তল্লাশির পর বিএসএফ কর্তার বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই।
গরু পাচার মামলায় এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ইমানুল বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই ঘটনায় ম্যাথিউ বলে এক বিএসএফ কমান্ড্যান্টকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ ছিল, ৪৫.৫ লক্ষ-টাকা ইমানুল দিয়েছিল ওই কমান্ড্যান্টকে। ইমানুল অবশ্য পরে ছাড়া পায়।
সেই আগে ধরা পড়া ইমানুল হককেই আবারও খুঁজছে সিবিআই। তার কাছ থেকেই মিলতে পারে আরও তথ্য। এর পেছনে বড় কোনও প্রভাবশালী মাথা যুক্ত আছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে। এখনই এই তদন্ত বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জানাগিয়েছে , ইতিমধ্যেই এই গরু পাচারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। জেরাও করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। তার পরই এই তল্লাশি অভিযান। কোন কোন এলাকা থেকে গরু পাচার হয় কিভাবে হয় এবং কাদের যোগসাজশে হয় সেই বিষয়টাকে খতিয়ে দেখেই তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত মোট ১৬টি জায়গায় দল ভাগ করে তল্লাশি চলেছে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোও নজরদারির আওতায় রয়েছে।